কুষ্টিয়ায় ইসলামিয়া রাইস এজেন্সি নামক এক চাউল কলের মিলে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বস্তা।
চাল বাজারজাতকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও মানছেন না অনেক চালকল মালিকরা। দেশের বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারি এই জেলার অটোরাইস মিলগুলোতে অবাধে চলছে প্লাস্টিক বস্তার ব্যবহার।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায়ীরা চাল, ডাল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করছেন প্লাস্টিকের বস্তায়। ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। তবে স্থানীয় চালকল মালিকরা বলছেন, সরকারের যেহেতু নির্দেশ আছে, আমরাও নির্দেশ মানতে বাধ্য। তবে ঢালাওভাবে সবাই এ কাজ করেন না।
খাদ্যশস্য, চিনি, সারসহ ১৭ পণ্য সরবরাহ বাজারজাতকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। প্রণয়ন করা হয়েছে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’। তবে এ নিয়ম মানছে না বেশিরভাগ পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। জেলার চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য কুষ্টিয়ার খাজানগর বটতল শিশু তলায় অবস্থিত ইসলামিয়া রাইস এজেন্সি ওই আইনের তোয়াক্কা করছে না। আগের মতো প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মারুফ মিয়াজীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগের অনেক বস্তা ছিল। সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে ।
সরেজমিনে বাজারে দেখা গেছে, বাজারের অধিকাংশ দোকানে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বস্তায় চাল,ডাল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনের ধারাবাহিক নজরদারি না থাকায় বাজারগুলোয় প্লাস্টিকের বস্তায় পণ্য সরবরাহ করছেন মিল মালিকরা।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, চালকল ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের বস্তায় পণ্য সরবরাহ করায় তাদের সেই বস্তাতেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিষয়টি তাদের হাতে নেই। তবে সাশ্রয়ী মূল্যে পাটের বস্তা পেলে ব্যবহার করতে আপত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পাটের বস্তা সরবরাহকারীরা বলেন, চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করছেন। তাদের বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি দাবি করেন তারা।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

Discussion about this post