ফজলুল হক, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জোড়া পুলিশ বক্সের পাশে সেই যুবককে খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
মর্গে মিলল লাশের পরিচয়। ওই খুনের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তার খুনের রহস্য জানা যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে থানার ভেতরে প্রেসব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান থানার ওসি এএফএম নাসিম।
নিহত যুবক হলেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার বানিয়াকৈড় এলাকার হায়দার আলী প্রামানিকের ছেলে ইমরান হোসেন শান্ত (২৪)।
তার খুনের রহস্য উন্মেচন করার পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসবিফিং করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম, ওসি অপারেশন মোঃ যোবায়ের, সেকেন্ড অফিসার এসআই আজিম হোসেন, এসআই আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ ও বিভিন্ন ইলেকটনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় নাওজোড় হাইওয়ে ও গাজীপুর জেলা পুলিশের দুটি বক্সের পাশে চুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তার পরিচয় ও খুনের কারণ জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ ছাপার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার দুদিন পর মর্গে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন নিহতের চাচা দেওয়ান লিখন। নিহত ওই যুবকের নাম ইমরান হোসেন শান্ত।
গত ২০ জানুয়ারী নিহতের ওই চাচা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গাজীপুরের পুলিশ সুপার ও কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায়, কালিয়াকৈর থানার ওসির অভিযানে খুনের সাথে জড়িত মাহাবুব হোসেন ওরফে বাধন ও সুজন মিয়া খোকনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসময় খুনের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামীরা স্বীকারক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। তারা জানায়, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি বাধন নাওগাঁর সদর থানার পিরোজপুর (মধ্যপাড়া) এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে ও অপর আসামী খোকন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানার এনায়েতপুর এলাকার নজল মিয়ার ছেলে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত কালিয়াকৈর ও আশুলিয়া থানা এলাকায় ভাড়া থেকে নানা অপকর্ম করে আসছিল। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও মাদক মামলা রয়েছে।
জোড়া পুলিশ বক্সের পাশে খুনের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই দুটি পুলিশ বক্স ট্রাফিক ও হাইওয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। রাঁতে যখন ওই ঘটনা ঘটে তখন হয়তো বক্সে পুলিশ ছিলেন না। তবে সবার সহযোগীতায় সুন্দর পরিছন্ন কালিয়াকৈর গড়তে চান এই কর্মকর্তা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post