নিজস্ব প্রতিনিধি (যশোর): যশোরের দুই সবজি বিক্রেতার সাড়ে চার লাখ টাকা ডিবি পুলিশের পরিচয়ে অপহরণ ও টাকা লুটের ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশের বিশেষ জালে ধরা পড়েছে ৭ প্রতারকে ।
২০ মার্চ রাতে যশোরের কয়েকটি স্পটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আড়াইলাখ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে সোহাগ ও হাবিবুর রহমান নামে দুই সবজি বিক্রেতাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আটককৃতরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ডিবি পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে আসছিল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাওযার পর বিষয়টি অনুসন্ধান করে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে দুই ব্যবসায়ী সোহাগ ও হাবিবুর রহমান গত শনিবার ঢাকায় সবজী বিক্রি করে যশোর চাঁচড়ার তরিকুল ইসলাম শাহিনের বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামেন। এরপর একটি মাইক্রোবাস এসে থামে তাদের সামনে।
এসময় আসামিরা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোহাগ ও হাবিবুরকে উঠিয়ে নিয়ে যায় কেশবপুরের একটি ফাঁকা মাঠে। তাদের কাছ থেকে সবজি বিক্রির ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ওই চক্রটি। অপহরণের স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। এরপর ২০ মার্চ রাতে শুরু হয় অভিযান। যশোরের বিভিন্ন স্থানে রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ডিবি পুলিশ পরিচয়ের ওই ৭ জনকে। এ চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২লাখ ৫০ হাজার টাকা। আটককৃতরা হচ্ছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা গাজীর বাজার গ্রামের হারুন অর রশিদ (৩৩), শার্শা উপজেলার টেংরাইল মাঝেরপাড়া গ্রামের হাসান (২৪), চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের ইসতিয়াক আহম্মেদ (২৪), যশোর শহরের খড়কী বর্মনপাড়ার রাশেদ হাওলাদার (২৮), শার্শার নাভারণ রেলবাজার এলাকার সোহেল আহম্মেদ বাবু (৩২), গোগা গাজীপাড়ার আবুল উজ্জল হোসেন (৩০) ও বেনাপোল পুটখালী রাজগঞ্জ এলাকার হাফিজুর রহমান (৩২)।
ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার বলেছেন, এ চক্রের সদস্য ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী দুই সবজী ব্যবসায়ী ছাড়া পাওয়ার পর যশোর পুলিশের শরণাপন্ন হন। এরপর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাঠে নামে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০ মার্চ রাতে তারা আটক হয়।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২১ মার্চ ২০২৪

Discussion about this post