কূটনৈতিক প্রতিবেদক:
সভ্য পৃথিবীতে অসভ্য নিষ্ঠুর এক জাতিরনাম ইসরাইল । তাদের হাতে ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় গাজাবাসী কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন, সেটির নির্মম চিত্র ফুটে উঠেছে ঘাস, সঙ্গে লেবু দিয়ে ইফতার করছে এক ফিলিস্তিনি পরিবার সেই হৃদয়বিদারক ছবিতে।ছবিটি দেখার পর বিশ্ব মানবতা ব্যথিত হলেও আরব বিশ্বের মনের কোণে কি সামান্যতম নাড়া দিতে পেরেছে। হয়তো না। মক্কা মদিনা পূত ভূমি না হলে হয়তো কেউ শয়তানের দোসরদের দিকে থূথূ ফেলতো না।
গাজার অসহায় এক পরিবার সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইয়ের সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তারা ঘাস তুলে সেগুলো বাধ্য হয়ে রান্না করে খাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, ঘাস হলেও শিশুদের সঙ্গে তারা মিথ্যা বলেন। শিশুদের তারা বলে থাকেন এগুলো মুলুখেয়া। যেটি উদ্ভিদ বিশেষ এক খাবার।অপর সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ নিশ্চিত করেছেন, তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় গাজার অনেক মানুষ ঘাস খাচ্ছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, গাজার শিশুরা ঘাস সংগ্রহ করছে। এক মা জানিয়েছেন, তার শিশু খুবই দুর্বল এবং সবসময় ডায়রিয়াতে ভুগছে। আর তাদের চেহারা সব সময় হলুদ হয়ে থাকে। ময়লা পানি ও ঘাস খাওয়া শুরুর পর থেকেই মূলত এমনটি হচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। অন্যরা যখন যথাযথ নিয়ম মেনে, নিজের পছন্দমতো রমজান পালন করছে, গাজায় তখন চলছে বিভীষিকা। আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গাজাবাসী ইফতার করছে ঘাস বা গাছের পাতা দিয়ে। তারা তারাবিহর নামাজ পড়তে পারছে না। ওজু করার জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই। সাহরিতে একজনের খাবার কয়েকজন ভাগ করে খাচ্ছে। এমন করুণ পরিস্থিতি পৃথিবীবাসী আগে কখনো দেখেনি।
আলজাজিরা জানায়, জাতিসংঘ খাদ্য ও অন্যান্য সাহায্য সরবরাহের জন্য উত্তর গাজায় প্রবেশে অসুবিধায় পড়েছে। ওই অঞ্চল জুড়ে গাজাবাসী রমজানে আরও তীব্র অভাব অনুভব করছে। গাজার দক্ষিণ সীমান্ত শহর রাফাহ’তে দেড় মিলিয়ন ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
রাফাহতে বাস্তুচ্যুত সাংবাদিক আসিল মুসা (২৬) সিএনএনকে বলেন, আমরা রমজানের জন্য অপেক্ষা করি কারণ এটি আশীর্বাদ, শান্তি এবং উপাসনার মাস। কিন্তু এই রমজান আসছে গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের মধ্যে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩০০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ৭২ শতাংশ নারী এবং শিশু। ৯৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছে এ যুদ্ধে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post