রোমান আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধি : দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতো জামালপুরেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিন্ন চাকরবিধি বাস্তবায়নসহ ১৬টি দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ সময় তারা ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের স্থান নাই, বৈষম্য নিপাত যাক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক’ শ্লোগানে মুখর করে তোলেন সমিতির প্রাঙ্গণ।
রবিবার (৫ মে) সকাল ১০টায় পৌরসভার বেলটিয়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রাঙ্গণে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যানার ফেস্টুন প্লেকার্ড নিয়ে বিদ্যুৎব্যবস্থা সচল রেখে এ কর্মবিরতি পালন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অপারেশন এন্ড ম্যানেজম্যান্ট) সাধন কুমার সরকার, কাজ নাই মজুরী নাই (কানামুনা) প্রকল্পের দীপা খাতুন, মিটার রিডার শেখ ফরিদ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার আছাদ হোসেন প্রমুখ।
জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারি পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারি (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস-এর এজিএম আইটি ও এজিএম অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম আইটি-কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে বাপবিবো/পবিস এ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের জন্যই এই কর্মবিরতি পালন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় আড়াইশ কর্মকর্তা-কর্মচারী এই কর্মবিরতিতে যোগ দেন। পরে তারা ১৬টি দাবি ও বৈষম্যগুলো একে একে উত্থাপন করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post