নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:নেছারাবাদ উপজেলার বিশাল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কৃষকের মালটা বাগানে হামলা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুয়ারেখা ইউনয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুরের ছেলে অর্নব ঠাকুর ও তার বাহীনির নেতৃত্বে এ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী মিলন মিস্ত্রী এ ঘটনায় অর্নব ঠাকুর, চন্দন মিত্র সহ পাচ থেকে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
মাল্টা চাষী মিলন মিস্ত্রী অভিযোগ করেন, “সুব্রত ঠাকুরের ছেলে সন্ত্রাসী প্রকৃতীর লোক। তাদের সাথে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ২১ মে শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম মুইদুল ইসলামে মটরসাইকেল প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ছিলাম। অপরদিকে সুব্রত ঠাকুরের ছেলে অর্নব আনারস প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হকের নির্বাচন করেছে। নির্বাচনের দিন রাতে আনারস বিজয় হওয়ার খবর পেয়েইই অর্নব ও তার বাহীনি আমাকে মারার জন্য বিশাল বাজারে আসে। এসময় আমাকে না পেয়ে আমার আশি শতক জমিতে রোপিত ফলিত দশ লাখ টাকার মাল্টা বাগানে হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাল্টা গাছ নষ্ট করা সহ অধিকাংশ গাছের মাল্টা নষ্ট করে ফেলে। বিষয়টি আমি জানতে চাওয়ায় উল্টো আমাকে মেরা ফেলার হুমকি প্রদান করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জ্ঞানেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, “সব করছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর। তার ছেলে মিলনের অনেক কষ্টার্জিত মাল্টা বাগানে হামলা চালিয়ে ফলিত মাল্টা সহ গাছগুলো নষ্ট করেছে। এর পূর্বেও এ ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনের পর মিলনের মাল্টা বাগানে হামলা করেছিল”।
স্থানীয় বাদল মিস্ত্রী বলেন, “সুব্রত ঠাকুর আমাদের এলাকায় থাকতে দিবে বলে মনে হয়না। আমাদের কোন নির্বাচন করার অধিকার নেই। নির্বাচনে কারো সমর্থন দিয়ে পরাজিত হলেই সুব্রত ঠাকুরের ছেলে অর্নব আমাদের হুমকি ধামকি দেয়। নির্বাচনে আমাদের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পরে মিলনের মাল্টা বাগানে অর্নব হামলা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে”।
অভিযুক্ত অর্নব ঠাকুর বলেন, “আমি আনারস প্রতীকের নির্বাচন করেছি। তারা রাজনৈতিক প্রতি হিংসায় আমাকে দোষারোপ করছে। আমার বাবা সুব্রত ঠাকুর একজন সাবেক চেয়ারম্যান। তাকে ক্ষতি করার জন্য আমাকে দোষারোপ করছে। হয়তো বাবার সাথে তাদের কোন ঝামেলা থাকতে পারে”। নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী বিজয়ি হওয়ার পর আমি সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি”।
নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত এইচ,এম শাহীন জানান, “এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। সরেজমিনে বাগান পরিদর্শনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে”।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post