শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য পুলকেশ রায়ের বিরুদ্ধে এবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালীণ সরকারি পানির ট্যাংকি বিক্রিসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সেখানকার ১০ জন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার লতা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পুলকেশ রায়। গত বছর (২০২৩ সালে) সেখানকার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস অনৈতিক কার্মকান্ডের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীণ পুলকেশ রায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সময় তিনি বরাদ্দের ৭৬টি পানির ট্যাংকি প্রদানে জনপ্রতি ৬-৮ হাজার টাকা করে আদায় করেন।
একই সময় সংস্কারের নামে প্রায় ১ কি:ম: ইটের সোলিং রাস্তার প্রায় ৮০ হাজার ইট তুলে অন্য কাজে লাগিয়ে তার সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া লতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা স্টেজ নির্মাণের জন্য ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। যার মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য ১লাখ টাকা প্রদান করেন। বাহিরবুনিয়া মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজের বিপরীত কাটামারি রাস্তা সংস্কারের ১ লাখ টাকা ও কাঠামারি বাজার খেয়াঘাট সংলগ্ন রাস্তা সংস্কারের বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগে বলা হয়।
এসব ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সেখানকার ১০ জন ইউপি সদস্য বাবলু সরদার, শওকত হাওলাদার, স্বপন কুমার মন্ডল, আজিজুল বিশ্বাস, রিনা পারভীন, বিজন কুমার হালদার, কুমারেশ মন্ডল, চম্পা বেগম, ফেরদৌস ঢালী ও মঙ্গল মন্ডল পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস বলেন, এসংক্রান্তে কেউ কোথাও অভিযোগপত্র দিয়েছে কিনা সেটা তার জানা নেই। আর দায়িত্বে থাকাকালীণ কেউ যদি কোন প্রকার দূর্নীতি-অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং তারভারও নিশ্চই তার।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পুলকেশ রায় বলেন, তুলনামূলক তার ওয়ার্ডে বরাদ্দ বেশি হওয়ায় অন্যান্য সদস্যরা তার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে অভিযোগ করছে। তিনি কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির সাথে জড়িত নন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন অভিযোগপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post