সিলেট অফিস : সিলেটে ধীর গতিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, এখনো কিছু এলাকা নিমজ্জিত। তাছাড়া কুশিয়ারা নদীর একটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় ফের সিলেটে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে আবারও বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে তা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অল্প ছিল। সকাল থেকেই সিলেটের আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। বিকেল থেকে বিভিন্ন উপজেলায় আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে জেলার দক্ষিণ তীরবর্তী জনপদগুলোতে পানি বেড়েই চলেছে। দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ, ফেন্চুগন্জ এলাকায় এখনো বেশিরভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে। একটু পানি নামতে না নামতেই আবার বৃষ্টিপাত এ জনপদের বাসিন্দাদের বিপদ সংকুল করে তুলেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ উপজেলাসহ কিছু এলাকা এখনও প্লাবিত। এ অবস্থায় নতুন করে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বালাগঞ্জ উপজেলার আহাদ মিয়া জানান, গতকাল ঘর থেকে পানি নেমেছে, ফের বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতি আবারো অবনতি হবে। এমন হলে আবারও ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে বলে তিনি জানান।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সিলেটে ভারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেটের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হলে আবারও বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান আলাপকালে জানান, ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস পেয়ে সিলেটের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড কর্মকর্তা ও ইউনিয়নে একজন করে ট্যাগ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৮ জুন২০২৪

Discussion about this post