দৌলতপুর প্রতিনিধি :কুষ্টিয়া দৌলতপুরে উপজেলা, সেচ্ছাসেবকদল, যুবদল ও ছাত্রদলের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার রাতে উপজেলা বাজার বিএনপির পার্টি অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শের আলী সবুজ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম , সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাশেদুল হক শামিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসাউল হক, কামরুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেল।
এ সময় শের আলী সবুজ লিখিত বক্তব্যে বলেন,স্বল্প সময়ে ডাকা এই জরুরী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার আমলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে নিয়মিত চাঁদাবাজি হয়ে আসছিলো, প্রতিদিন এইসব চাঁদার লাখ-লাখ টাকা নেয়া হতো উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানা সুবিধা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা থেকে। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সারাদেশের মতো দৌলতপুরের মানুষও ইতিবাচক সংস্কারের স্বপ্ন দেখছে।
গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম জিয়া এবং তরুণ-যুবকের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো দেশে ন্যায়-নীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ এলাকায় দুর্নীতি চাঁদাবাজী বন্ধ করতে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নির্দেশে সজাগ দৃষ্টি রেখে আসছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এমতাবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে কিছু লোক বিএনপি দলীয় নানা সংগঠন ও পদের নাম ভাঙ্গিয়ে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়সহ নানা দপ্তরে চাঁদা দাবি করে। দুর্নীতি হচ্ছে না স্পষ্ট জানিয়ে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় সংশ্লিষ্টরা।
পরবর্তীতে বুধবার সকালে জানা যায়, বহিরাগত রতন পিতা তোফাজ্জেল, আসাদ পিতা আকবর, মর্জেল পিতা অজ্ঞাত, রিমন পিতা অজ্ঞাত ও স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আকবর হোসেনের ছেলে কর্নেলের নেতৃত্বে পুনরায় চাঁদার দাবিতে অস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বাজারে এসেছে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ফয়সাল পিতা ফরিদ, নোবেল পিতা টুটুল, হাবিব পিতা শহীদুল সহ আরও ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। স্থানীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা তাদের চলে যেতে বললে আকস্মিক ভাবে তারা একেকজনের কোমর থেকে হাতুর, লোহার রড, হাত-কুড়াল, রামদা ও পিছল বের করে। এঘটনা দেখে স্থানীয় জনতা তাদের প্রতিহত করে। এসময় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কয়েকজন এবং স্থানীয় জনতার কয়েকজনও আহত হয়। কিন্তু আমরা হতবাক হই তখন, যখন দেখি চাঁদাবাজ গ্রুপটি নিজেরাই ফেসবুক সহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও বিএনপি সংগঠনের নামে ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র-স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অগ্রপথিক এই সংগঠনের নামে অপপ্রচার বন্ধ ও প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবহার করা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে জোর অনুরোধ জানাতে এবং রাষ্ট্রের অন্যতম অ গণমাধ্যমকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে আমাদের আজকের এই জরুরী সংবাদ সম্মেলন। বিষয়টি দৌলতপুর থানায় অবগত করা হয়েছে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Discussion about this post