শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
কমতে শুরু করেছে তিস্তা ও ধরলা নদীর বন্যার পানি। দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বন্যাকবলিত প্রায় এক লাখ মানুষ।
গতকাল রবিবার তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেঃমিঃ বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ছিল। আজ সোমবার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৭ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু তিস্তা নদীর দুই কূল উপচে গিয়ে রংপুর বিভাগের ৪ টি জেলার কমপক্ষে এক লাশ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবার গুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। সরকারি খাদ্য সহায়তা এখনো পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে চরের পানি বন্দি মানুষ।
খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক হায়দার আলী জানান, তিস্তা নদী রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা বুক চিঁড়ে প্রবাহিত হয়ে আসছে। এ নদী ভারত হতে উৎসমুখ। প্রায় ১৩৫ কিঃমিঃ ৫টি জেলায় প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে মিশেছে। নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে মানববসতি। এবারের বন্যায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, নীলফামারীর জলঢাকা, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট সদর, গাইবান্ধা সদর, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, রৌমারী, ফুলবাড়ির প্রায় এক লাখ মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছে। উঠতি ধান ক্ষে, বাদাম ক্ষেত, শীতের সবজি ক্ষেত সহ নানা ফসল তলিয়ে গেছে। বন্যার্ত পরিবার গুলির প্রায় ১৫-২০ হাজার গ্রহপালিত পশু পাখি নিয়ে পড়েছে বিপাকে। সবখানে পানি উঠায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকঠে রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, গবাদি পশুকে বন্যার পানি ও বন্যার পানি উঠেছে এমন জায়গার কোন ঘাস খাওয়ানো যাবে না।

Discussion about this post