আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক: ইসরায়েল দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ইরানের সঙ্গে পা পাড়িয়ে যুদ্ধ জড়ানো চেষ্টা করলেও ইরান ছায়া যুদ্ধের মাধ্যমে শায়েস্তা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাথায় উঠে নাচতে শুরু করলে ইরান হুমকি ধামকি দিয়ে নিবৃত করতে পারেনি।
হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইরানের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের হত্যা করেই চলেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ১লা অক্টোবর ইসরায়েলে ইরান মিসাইল হামলা করেছে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের অনেকের কাছে ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সামনে কী ঘটতে চলেছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরাইল বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েরের এক সরকারি কর্মকর্তা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির ঐ কর্মকর্তা ২১ অক্টোবর ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি চ্যানেল কান ১১-কে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরানে একটি বড়সড় হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েল নিচ্ছে। এছাড়া ইরানের যে কোনো সম্ভাব্য হামলা ঠেকানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা ও লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে।
ইরানের হামলার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে নিজেদের সুরক্ষা ও মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরামর্শমূলক নিবিড় আলোচনায় যুক্ত রয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত যুদ্ধাস্ত্রগুলোর মধ্যে থাড অন্যতম। এরই মধ্যে ১৯ অক্টোবর ইসরায়েলে নিজেদের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা ‘থাড’ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় চেয়ে শিল্প ও শহুরে অবকাঠামোয় হামলা হলে সেটা সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যাওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে।
আসালুয়েহ বন্দর ও খার্গ দ্বীপের টার্মিনালসহ ইরানের তেল স্থাপনাগুলো ইসরায়েলের জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। কেননা, এগুলো দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত। আর সেখানে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড হলে সেটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বড় করে প্রচার পাবে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো মাটির অনেক গভীরে অবস্থিত এবং সেগুলো দেশটির মধ্যভাগে অবস্থিতি। সেখানে হামলা করতে হলে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক প্রচেষ্টা যেমন দরকার, আবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা পাওয়া দরকার।
যা–ই হোক, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পারমাণবিক স্থাপনায় যেকোনো হামলার বিরোধিতা করেছেন।এই সংঘাতে বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ইরান সরকার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েলকে মিসাইলবিরোধী থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন, ‘এটা নতুন কোনো ব্যাপার নয়; আর এটা সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যাও তৈরি করবে না।’ইরান সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্য ভায়িদ আহমাদি বলছেন, থাড ব্যবস্থায় হামলার সামর্থ্য ইরানের রয়েছে।
এহ/22/10/24/ দেশ তথ্য

Discussion about this post