কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী ব্রাক ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের কিস্তি গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করে তা ব্যাংক তহবিলে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তা আলমগীর ও মাঠকর্মি মুস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানা যায়,কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জয় বাংলা বাজারের “শফিকুল ষ্টোর” নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক শফিকুল ইসলাম গত ১৬/০৬/২০২২ ইং তারিখ ব্রাক ব্যাংক পিএলসি কুমারখালী শাখা থেকে ৮ লক্ষ টাকা ২ বছর মেয়াদী ঋণ গ্রহন করে।
ব্রাক ব্যাংকের মাঠকর্মি মুস্তাফিজুর রহমান প্রতি মাসে ৪১ হাজার ৩ শত ১৬ কিস্তি নিয়মিত আদায় করছিলেন। ২১ কিস্তিতে ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬ শত ৩৬ টাকা আদায়ের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করে।
হঠাৎ গত ৩০/০৭/২০২৪ ইং তারিখ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালত কুষ্টিয়া কর্তৃক স্বাক্ষরিত শফিকুলের প্রতি সমন জারি করেন। কুষ্টিয়া সিআর-১০৪৭/২৪, N.I.Act -১৩৮ ধারা মতে ১৫/১০/২০২৪ ইং হাজির হতে বলা হয়েছে।
সমনের সাথে উল্লেখিত মামলায় দেখানো হয়েছে আসামী শফিকুলের নিকট ৩ কিস্তির ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৫১ টাকা ব্রাক ব্যাংক পিএলসি কুমারখালী পাওনা রয়েছে।
শফিকুল তখন বুঝতে পেরেছে আমার টাকা জমা না করে মাঠকর্মি মুস্তাফিজুর রহমান ও শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীর টাকা আত্মসাৎ করেছে। শফিকুল দ্রুত উকিলের মাধ্যমে উক্ত টাকা পরিশোধ করে আসেন।
এ ব্যাপারে জানতে ব্রাক ব্যাংক কুমারখালী শাখায় গেলে শাখা ব্যবস্থাপক বলেন আমি নতুন এসেছি, আগে যিনি ব্যবস্থাপক ছিলেন আলমগীর তিনি চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন আর মাঠকর্মি মুস্তাফিজুর রহমান তার চাকুরীও চলে গেছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তিনি আরো বলেন,এ ঘটনা শুধু আপনার সাথেই করেনি,আরো অনেকের সাথে করেছে।
ভূক্তভোগী শফিকুল বলেন,আমি ঐ দুই জনার বিরুদ্ধে আইনের স্বরনাপন্ন হবো।
এহ/23/10/24/ দেশ তথ্য

Discussion about this post