নিজস্ব প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী ভাড়ায় চালিত একটি বাস উল্টে ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদাহ মহাসড়কের পাশে বিত্তিপাড়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে ইবির নিজস্ব চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাইওয়ে থানার পুলিশ জানায়, বাসের চালক চলন্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
আহত শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টায় বাসটি কুষ্টিয়া শহর থেকে ছাত্রদের বহন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বিত্তিপাড়া বাজারের সন্নিকটস্থ ফাঁকা মাঠে বাসটি উল্টে যায়। ভাগ্যিস ওই সময় আগে পিছে কোন দ্রুত গতির যানবাহন না থাকায় বড় ধরণের প্রানহানি
ঘটেনি’।
দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ীর পিছনেই ইবি’র অপর একটি গাড়ী যাচ্ছিল সেই গাড়ীর চালক ধনি মিয়া জানায়,‘হঠাৎ করে কি এমন ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারলামনা। দেখি বাসটি উল্টে গেলো। তৎক্ষনাৎ আমার গাড়ীটি থামিয়ে সবাই নেমে পড়ি উদ্ধার কাজে। ওই গাড়িতে ২৭/২৮জন শিক্ষার্থী ছিলো তাদের উদ্ধার করে আমরা ক্যাম্পাসে নিয়ে চলে আসি। ততক্ষনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সোহায়েন কোম্পানীর গাড়িটির চালক গা ঢাকা দেয়ায় জিজ্ঞাসা করে জানতে পারিনি যে সে কি অরিজিনাল ড্রাইভার নাকি হেলপার’ ? তবে এটা
ঠিক যে, ভাড়ায় চালিত গাড়ীগুলি চালানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অত্যবশ্যক পালনীয় শর্ত কেউই মানে না বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইবির চিফ মেডিক্যাল অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘মঙ্গলবার ১১টার দিকে আহত হয়ে ৭/৮জন চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। তাদের মধ্যে একজনের সামান্য বেশি জখম হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদের মধ্যে সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাইওয়ে থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদাহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বহনকারী একটি ভাড়ায়
চালিত বাস রাস্তার পার্শ্বের ধানক্ষেতে উল্টে যায়। সংবাদ পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। তবে এঘটনায় ৭/৮ আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন বলে ওই বাসের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে বাসের চালক রাতে ঘুমায়নি, চলন্ত অবস্থায় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এই ঘটনাটি
ঘটে থাকতে পারে। ওই বাসের চালক হেলপার গা ঢাকা দেয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি পুুলিশ।
এবিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী জানান, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিবহন সংকুলানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু পরিবহন ভাড়া নিয়ে চালাতে হয়। এক্ষেত্রে কার্যাদেশে কিছু শর্তাবলীও মেনে চলার বাধ্যবাদকতা আছে। তবে অনেকদিন আগের রেট কোটে
এতো সস্তা দরে কেউ আর পরিবহন ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। আমরা তাদের বিশেষ অনুরোধ করেছি গাড়ী চালানোর জন্য। এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, এতো অল্প টাকায় তারা আর গাড়ী
চালাতে পারবেন না। এই সমস্যা সমাধানে আমরাও নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছি। দেখা যাক কিভাবে কি করা যায়’।

Discussion about this post