মো. ফয়সাল আলম, রাজশাহী প্রতিনিধি
দেশজুড়ে রাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বেকায়দায় পড়েছে প্রশাসন। এ অবস্থায় সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবুও আতঙ্ক থামছে না মানুষের মাঝে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার লাঠি হাতে রাজশাহীর রাস্তায় নেমেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্ররাও। সোমবার রাত থেকেই তারা লাঠি হাতে নিয়ে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিতে শুরু করেন।
ছাত্ররা জানান, সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শতাধিক শিক্ষার্থী রাস্তায় নামেন। তারা লাঠি-সোটা হাতে নিয়ে রাস্তায় পাহারা দিতে থাকেন। এছাড়াও মোটরসাইকেল নিয়েও আলাদা আলাদা দল করে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে টহল দিতে থাকেন।
জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনত্যম সদস্য নাইমুর রহমান নাইম বলেন, ‘রাজশাহী শান্তির শহর। কিন্তু কিছুদিন হলো এই শহরও যেন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। কয়েকদিন আগে একজন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন শহরের কোনো না কোনো এলাকায় চুরি-ছিনতাই ঘটছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা মাঠে নেমেছি।’
নেওয়াজ শরীফ নামের আরেক ছাত্র বলেন, ‘আমরা দেশের শান্তির জন্য জীবন বাজি রেখে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন করেছি। তার পরেও মানুষের মাঝে শান্তি আসেনি। এই সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আবার দেশের প্রয়োজনে লাঠি হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মূখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রাজশাহী নগরীর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। তার পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে শিক্ষার্থীরাও মাঠে নেমেছেন। এটি একটি ভালো দিক।’
এদিকে, সোমবার দিবাগত রাতে অপারেশন ডেভিল হান্টে রাজশাহী মহানগর পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে বলেও জানান তিনি।
এম/দৈনিক দেশতথ্য//

Discussion about this post