ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার দেশের নিরাপত্তার গ্যারান্টি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতি টেকসই হবে না। রবিবার লন্ডনে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধে কেবল অস্ত্রবিরতি যথেষ্ট নয়।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন জানিয়েছেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি চায়, যা আকাশ, সমুদ্র ও জ্বালানি অবকাঠামোকে অন্তর্ভুক্ত করবে। তবে স্থলযুদ্ধ আপাতত এই চুক্তির আওতায় আসবে না।
জেলেনস্কি স্পষ্ট করেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে সেটি ইউক্রেনের জন্য আত্মঘাতী হবে। তার আশঙ্কা, রাশিয়া চুক্তি ভঙ্গ করলে ইউক্রেন পাল্টা আঘাত হানবে, যা নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে।
“এক সপ্তাহ পর রাশিয়া যদি আমাদের ওপর হামলা চালায়, তখন আমরাও পাল্টা আঘাত করব। তখন কি হবে? দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দোষারোপের খেলা।” তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হবে রাশিয়া, ইউক্রেন নয়।
ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বৈঠকে জেলেনস্কিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তিনি জানান, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়।
বৈঠক শেষে জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস থেকে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই বেরিয়ে আসেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রিপাবলিকান নেতা দাবি করেন, ইউক্রেনের নেতৃত্ব বদলানো দরকার। তবে জেলেনস্কি জানান, তাকে সরানো সহজ হবে না এবং তিনি কেবল একটি শর্তেই পদত্যাগ করবেন—যদি ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
“শুধু নির্বাচন করলেই হবে না, আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে না দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে। সেটা কঠিন কাজ। আর আমি তো বলেছি, আমি ন্যাটোর বিনিময়ে সরে যেতে রাজি। তখন আমার দায়িত্ব শেষ।
এদিকে, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের দাবি, ২০২৪ সালে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে সামরিক আইন জারি থাকায় নির্বাচন সম্ভব হয়নি, যা নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে।
এম/দৈনিক দেশতথ্য//

Discussion about this post