রোমান আহমেদ, জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে টাকা ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগিরা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে আদ্রা এলাকায় প্রতারকের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০২৩ সালে আদ্রা (বড় বাড়ি) গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল বাদল মাস্টার (৫৫), তাঁর পুত্র রাগিব ইয়াসির সিনজন (২৫), পুত্রবধূ রোকেয়া আফরোজ প্রাপ্তি (২৪), ভাই রোবেল মিয়া (৩৫), স্ত্রী করোনা বেগম কনা (৪৫) পরস্পর যোগসাজসে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ছাত্র ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানোর কথা বলে আমাদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নেন। এরপর জাল কাগজপত্র তৈরি করে আমাদেরকে কোরিয়া পাঠানোর কথা বলে ঢাকাস্থ কোরিয়ান দূতাবাসে পাঠায়। কোরিয়ান দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমাদের কাগজপত্র জাল। পরে আমরা হতাশা হয়ে ফিরে আসি। এমন প্রতারণার বিষয়ে আমরা আত্মীয় স্বজন-এলাকাবাসিসহ আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কয়েক দফায় সালিসি বৈঠক করা হয়েছে।
একপর্যায়ে আমাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সময় নিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। স্বজনরা ফোন করলেও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতেই শেষ নয়, পাওনাদারদের বিরুদ্ধে মামলাসহ নানা হুমকী ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। আমরা মেলান্দহ থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ ঘটনার তদন্তও করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্তরা বাড়িতে না থাকায় তাদের মতামত জানা যায়নি।
জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার চর গুজামানিকা এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমানের নিকট থেকে ১৪ লক্ষ ৫০হাজার, লেবু মিয়ার ছেলে সুলতান মাহমুদের নিকট থেকে ১৫ লক্ষ, মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রবিন মিয়ার নিকট থেকে ১২লক্ষ, মমিনুর রহমানের ছেলে রাজু মিয়ার নিকট থেকে ১৪লক্ষ, ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ছবিলাপুর এলাকার ওয়াদুদের ছেলে মবিনের নিকট থেকে ১৮লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, আমরা এখন পথে বসে গেছি। জমিজমা বিক্রি করেও সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারছিনা। আমরা আজ নিরুপায়। আমাদের টাকা ফিরে চাই।
এবিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন এসআই তদন্ত করছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেটি করবো।

Discussion about this post