মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে নতুন টাইলস বসানো হয়েছিল। তবে একদিন পরেই টাইলস ভেঙে পড়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রোগীরা অভিযোগ করেছেন, নির্মাণকাজের মান খুবই নিম্নমানের ছিল। এভাবে সরকারি টাকার অপচয় হলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সরকারি অর্থায়নে ১০ লাখ টাকা বাজেটের এই সংস্কার প্রকল্পটি পায় নিশাদ বসু নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে টাইলস, রং ও অন্যান্য সংস্কারকাজ করা হয়। কিন্তু টাইলস লাগানোর একদিন পরই তা ফেটে পড়ে এবং কিছু অংশ খুলে পড়ে যায়।
একজন রোগী বলেন, এটা কীভাবে সম্ভব? একদিনেই যদি টাইলস খুলে পড়ে, তাহলে নিশ্চয়ই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে! কর্তৃপক্ষ অবগত নয়, প্রকৌশলীদের গড়িমসি।
স্থানীয়রা এ ঘটনাকে সরকারি টাকার অপচয় ও তদারকির অভাব বলে মনে করছেন।
এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রকল্প অনুমোদন থেকে কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত যদি সঠিক তদারকি না হয়, তবে এমন ঘটনা ঘটবেই। আমরা দ্রুত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভাত রানী জানান, আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের কিছু জানায়নি। এখন যা দেখছি, তাতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ইউছুফ হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। যদি সত্যি ত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুল কাদের দাবি করেন, আমরা নিশ্চিত করছি, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তবে যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তা সংশোধন করা হবে।

Discussion about this post