অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর আহ্বায়ক কমিটি গঠন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় সর্ব সম্মতি ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ খানকে আহবায়ক ও মান্নান কে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে শহরে মাংস বাজার এলাকায় ১১ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য গনকে নিয়ে এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আলোচনা ৩টা পর্যন্ত চলে এবং শেষে মধান্হ ভোজের মধ্যে দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, নওগাঁ জেলার অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী সংগঠনে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আজিজুল হক এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি খোরশেদ আলম।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ খান, মান্দা উপজেলার সভাপতি আব্দুল কাদের,আত্রাই উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী,ধামুইরহাট উপজেলার সভাপতি আব্দুর রশিদ,বদলগাছী উপজেলার সভাপতি ইসাহক আলী,পত্নীতলা উপজেলার সভাপতি মোরসেদ আলম, নওগাঁ সদরের সভাপতি ইন্তাজুল ইসলাম,আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, সহ সভাপতি মামুন,লিল্লুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, টিপু সুলতান,পাপ্পা আব্দুল মান্নান প্রমূখ।

২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির মেয়াদ মোট ৬০ দিন ধায্য করা হয়।উক্ত ৬০ দিনের মধ্যে একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পুর্ন গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ খানকে আহবায়ক ও মান্নান কে সদস্য সচিব করে মোট ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সর্বসন্মর্তি ক্রমে নাম প্রকাশ করা হয়।

কমিটির অন্যরা হলেন,যুগ্নআহবায়ক আজিজুল হক,মামুন,আব্দুল কাদের,সদস্য টিপু সুলতান,জিল্লুর রহমান, জুয়েলুর রহমান,রফিকুল ইসলাম টিপু, আবুল কালাম আজাদ,মাহামুদ,মোঘল হোসেন, আলহাজ্ব আবুল কালাম, আমিনুল ইসলাম সহ অনেকে।

সভায় বক্তারা বলেন, অতীতে এই সৈনিক সংস্থার যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের ব্যাক্তি স্বার্থে, রাজনৈতিক নেতাদের লেজরবৃত্তি করে সংগঠন ধংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তাই এখন থেকে সবাইকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে আগামী দিনে যারা আমাদের নেতা হবেন,আর কোন রাজনৈতিক নেতার লেজুরবৃত্তি করে সংগঠন ধংশ করতে দিব না। আমরা সরকারের রেশন,পেনশান ও ফ্রি চিকিৎসা সহ পরিবারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আমরা ভোগ করি,বিধায় সেনাপ্রধান আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিবে আমরা সেনাপ্রধান ও সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক চলবো। আমাদের কোন সদস্য কোথাও অন্যায় ভাবে হেনেস্তার শিকার হলে তা একসাথে মোকাবিলা করার ঘোষনাও দেওয়া হয়।