কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তার স্ত্রী রত্মা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যার পর নিজেও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার বোয়ালদাহ মেছোপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রত্না খাতুন (২৫) স্থানীয় বাসিন্দা আমোদ আলী’র কন্যা। বিবাহিত জীবনে রত্নার একটি শিশু কন্যা রয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নিহতের স্বামী টুটুলের সাথে ঝগড়া লাগে। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে টুটুল অস্ত্রের আঘাতে রত্নাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় রত্না অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে টুটুল নিজেও ঘর থেকে ইদুর মারা বিষ এনে খায়। কিছুসময়ের মধ্যে টুটুল নিজেও অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় চিৎকার চেচামেটি শুনে আশপাশের লোকজন এসে অচেতন রত্না ও টুটুলকে উদ্ধার করে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রত্নাকে মৃত ঘোষনা করেন। বিষপানে গুরুতর আবস্থায় টুটুলকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: হোসেন ইমাম।
নিহতের পরিবারের দাবি এইহত্যাকান্ডে জড়িত টুটুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রত্মা নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেেছ।
ওসি জানায় ‘৮ বছর আগে রত্মার সাথে সাথে স্থানীয় বাসিন্দা ওমর আলীর ছেলে টুটুলের বিয়ে হয়। কয়েক মাস পূর্বে দাম্পত্য কলহের জেরে রত্না টুটুলকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে। সেখানেও বেশিদিন সংসার টেকেনি। রত্নার আবারও তার প্রথম স্বামী টুটুলের কাছে ফিরে আসে। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে বিবদমান দাম্পত্য কলহের জেরেই এই হত্যা কান্ড ঘটেছে বলে প্রথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে।

Discussion about this post