ইরফান উল্লাহ, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পাবলিক ডকুমেন্ট বিদেশে গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রমাণীকরণ (অ্যাপোস্টিল প্রক্রিয়া) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বিভাগের অধিকতর শিক্ষা ক্যারিয়ার গঠন ও অভিবাসন প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি সেল এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. নাজিমুদ্দিন।
কর্মশালায় একাডেমিক শাখার প্রধান, একাডেমিক সত্যয়ন কর্মকর্তা এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এই বিষয়টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত জরুরী একটি ইস্যু হলেও এ বিষয়ে এখনও যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়নি। যার কারনে অনেক শিক্ষার্থী এমনকি পেশাজীবী যারা লেখাপড়া বা অভিবাসন প্রত্যাশী হন, দেশের বাইরে গিয়ে তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়।
এসময় উপাচার্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে অ্যাপোস্টিল প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করা, প্রক্রিয়াটি কোথায়, কিভাবে এবং কত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য পৌঁছে দেওয়া এবং অনলাইন আবেদন ও ট্র্যাকিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা প্রদানের উপর জোর দেন। তিনি সেবা-গ্রহীতাদের অভিজ্ঞতা, সুবিধা-অসুবিধা ও সুপারিশ সংগ্রহের মাধ্যমে অ্যাপোস্টিল প্রক্রিয়াকে আরও জনবান্ধব ও সময়োপযোগী করার নিদের্শনা দেন।
উল্লেখ্য, অ্যাপোস্টিল হলো একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নথিপত্র যাচাইকরণ প্রক্রিয়া, যা হেগ কনভেনশনভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে কেবল প্রয়োজ্য। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পাবলিক ডকুমেন্ট (যেমন জন্ম সনদ, শিক্ষাগত সনদপত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি) বিদেশে গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রমাণীকরণ করা হয়।

Discussion about this post