গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার রুস্তম আলী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালনগর গ্রামের মৃত নয়মুদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলীর নেতৃত্বে তার ছেলে আব্দুল্লাহ, ফরিদুল ইসলাম, আইয়ুব আলীর ছেলে আনছার আলী, তৈয়ব আলীসহ ১০-১৫ জনের একটি দল রবিবার (৬ জুলাই) সকালে গোপালনগর মাঠে পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা চালায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত কোন সরাসরি বিরোধ না থাকলেও একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক বিভেদ সৃষ্টির জন্য এই ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে হুমকি-ধামকিতে লিপ্ত হয়। এ সময় বাঁশের খুঁটি পুঁতে জমির আইল জবরদখল করতে চায় তারা। বাধা দিলে দেশীয় অস্ত্র হাতে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং জমির পাশে আসলে “দুই হাত কেটে নেওয়া হবে” বলেও ভয় দেখায়।
জমির প্রকৃত মালিকরা—বানিয়াপুকুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল আলীম, মৃত শাহাদত আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ, গোপালনগর গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে আবু ছদ্দিন, মৃত হানিফ আলীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন ও মৃত হামিদের ছেলে রববুল হোসেন—জানান, গোপালনগর মৌজার সিএস খতিয়ান ৬৪, ৬৫; এসএ খতিয়ান ৪১, ৪২ এবং আরএস খতিয়ান ৫৬৯, ৫৭০, ৫৮, ৫২৫, ৫৮৯ ও ৩৮৯ নম্বর খতিয়ানে; আরএস দাগ নম্বর ১১৪, ১৮০, ২৫৯, ৩০২, ৩২৯, ৩৮৪, ৪২৬, ৪২৮, ১২১৯, ১৩১৭ ও ২৪৬১ নম্বর দাগে মোট ২১ একর ১১ শতক জমি শাহাদত মণ্ডল, মোহাম্মদ মণ্ডল, আমির উদ্দিন, হাজী আলীমদ্দিন, রাহাতন নেছা, জহির উদ্দিন ও রহিমন নেছার নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি এজমালি হিসেবে ভোগদখল করে আসছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ একটি ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে জোরপূর্বক জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুস্তম আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জমির প্রকৃত মালিকরা জানান, তারা বর্তমানে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

Discussion about this post