এনামুল হক কুষ্টিয়া: নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায় ট্রাক-মাইক্রো মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রো চালক ও একই পরিবারের ৭জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা সবাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে বড়াইগ্রামের তরমুজ পাম্প এলাকায় বনপাড়া- হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া থেকে সিরাজগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৪৫), বোন রওশন আরা আক্তার ইতি (৪৮), আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), আনোয়ারা খাতুন (৫৫), নিহত সেলিনা খাতুনের মা আনজুমানরা খাতুন (৬৩)
এবং বোন সীমা খাতুন (৩৫)। এছাড়া একই গ্রামের বাসিন্দা মাইক্রো চালক শাহাবুদ্দিন (৪২)। নিহত জাহিদুল ইসলামের চাচাতো ভাই মানজারুল ইসলাম জানায়, জাহিদুল
ইসলামের দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। দুইদিন আগে প্রবাসী এক ছেলের স্ত্রীর অপারেশন হয়। তিনি বর্তমানে সিরাজগঞ্জে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাকে দেখতে বুধবার সকালে পরিবারের সাত সদস্য
একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে রওনা দেন। সিরাজগঞ্জে যাওয়ার পথেই এই দুর্ঘটনায় তাদের সবাই প্রাণ হারান। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় জাহিদুলের পুরো পরিবারই শেষ হয়ে গেল। নিহতদের মধ্যে তার স্ত্রী, বোন, শাশুড়ি ও শালিকাও রয়েছেন। বাড়িতে আর কেউ বেঁচে রইল না।
বুধবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে গেলে সেখানে শোক বিহ্বল
পরিবেশে সবাই নির্বাক হতে দেখা যায়। আশপাশের পাড়া গাঁ থেকে আসা
প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের ভিড়ে শোকার্ত সবাই। বাড়ির ভেতরে স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন,‘সিরাজগঞ্জে অসুস্থ্য এক আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার পথে ট্রাক-মাইক্রো সংঘর্ষের ঘটনায় মাইক্রো চালক এবং উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের একই পরিবারের ৭জনের নিহত হওয়ার সংবাদ শুনেছি। নিকটস্থ আদাবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’ তবে নিহদের মরদেহ এখনও এসে পৌছায়নি বলে শুনেছি’।

Discussion about this post