তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
গত ১৬ই জুলাই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের বৈঠক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়।
স্থানীয়রা বলছেন এর দায় কি কমলগঞ্জ থানা পুলিশ নিবে?
আদি সিরাজী নামের একজন লিখেন”প্রশাসন কি করে এরচেয়ে বহু নিচু দরের নেতাকে দরে নিতে পারে আর ওদেরকে?”
কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত হচ্ছে এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বাড়ছে।
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে মিলেছে উদ্বেগজনক এ তথ্য।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়,গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ই আগস্ট। অস্থিরতা তৈরি করতে ঢাকা ও দিল্লিতে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়া গোপালগঞ্জকে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র। দেশের বাইরেও পুরোদমে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী ক্যাডাররা। ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জড়ো হচ্ছে পলাতক ও গা-ঢাকা দেওয়া ফ্যাসিবাদীরা। আয়ত্ত করছে নাশকতার বিভিন্ন উপায় ও হামলার কৌশল।
জামাল উদ্দিন নামের একজন জানান, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দাপটশালী ইউপি সদস্য সুন্দর আলী এসবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার বিরুদ্বে রয়েছে নানান অভিযোগ, টিকাদারী কাজ করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করছেন। ভিজিটি,ভিজিএফ, ভাতার কার্ড বিতরনে স্বজনপ্রীতি, বিভিন্ন লোককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সুন্দর আলী একজন যুবলীগ নেতা ৫ই আগষ্ট এর পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিনের বেলায় বের হন না একান্ত বের হলে মাস্ক ব্যবহার করে বের হন। স্থানীয়রা জানান, তিনি রাতের বেলায় তার লাইনের লোকদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেন।

Discussion about this post