মারফত আফ্রিদী, মিরপুর:
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সবাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেছেন, হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এক বছর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ২ হাজারের মত ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্বসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় ঘটনা। স্বাধীনতা-পূর্ব ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ছাত্রদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯০ সালের আন্দোলনে ছাত্ররা এরশাদ সরকারের পতনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ছাত্রদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুরুতে এ আন্দোলন অহিংস ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেপরোয়া হলে ১৫ জুলাই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। অতঃপর শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করে। সহিংসতার মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। যার শেষ পরিণতি ঘটে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে। ৫ আগস্ট পতন ঘটে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী সরকার শেখ হাসিনার।
সোমবার (০৪ আগষ্ট) বিকেলে মিরপুর ঈগল চত্বরে- জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মিরপুর উপজেলা ও পৌর শাখা কর্তৃক আয়োজিত মিছিল এবং সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কুতুব উদ্দিন বলেন, বিএনপি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, ভদ্র মানুষের দল, শান্তিপ্রিয় মানুষের দল। নিজেকে আগে পরিবর্তন করতে হবে, তাহলে দেশ সংস্কারের প্রয়োজন হবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে অনুসরণ করুন, অনুকরণ করুন। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নিজস্ব ইন্টেলিজেন্ট গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি মাঠপর্যায়ের সমস্ত খবরাখবর রাখেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের সমস্ত অন্যায় থেকে দূরে থাকতে হবে। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিএনপিতে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বাবুর সঞ্চালনে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রশিদ, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি খন্দকার ওমর ফারুক কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আজাদুর রহমান আজাদ বিশ্বাস, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক এ্যাড. খাইরুজ্জামান খাইরুল, পৌর যুবদলের আহবায়ক সংগ্রাম খান জিল্লু, যুগ্ম আহবায়ক নাসিরুজ্জামান রানা, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তুষার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন প্রমুখ।

Discussion about this post