রোদ -ঝড় বৃষ্টি -শীত, উপেক্ষা করে দাড়িয়ে হাত নেরে চলছে কুষ্টিয়ার ট্রাফিক কার্যক্রম কোথায় গেল সেই লাল নিল বাতির সিগন্যাল ডিজিটালের বুলি মুখে নিয়ে এ এক লজ্জার কাহীনি বলছেন পৌরবাসী ! এমন অবস্থায় কুষ্টিয়া ট্রাফিক ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়েছে, যানজট নিরসন করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার পরও তারা অনেকটা অসহায় । আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগাই আশির দশকে কুষ্টিয়া শহরে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা থাকলেও তা যে কোন কারনেই ভেঙে পড়ে । আর এসব লাল-নীল সিগন্যাল লাইটের বাতি জ্বালানোর নেভানোর জায়গাটিও দখলে চলে গেছে কুষ্টিয়া পৌরসভার । সিগন্যাল লাইট পরিচালনার জন্য যে স্থান গুলো নির্ধারণ করা হয়েছিল সে সব স্থান বরাদ্দ দিয়েছে কুষ্টিয়া পৌরসভা । তাই কুষ্টিয়াতে আবার ফিরে এসেছে সেই পুরাতন আমলের ট্রাফিক ব্যবস্থা । এই বিপুলসংখ্যক যানজট নিরসনে অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে ট্রাফিক সার্জেন্ট সহ ট্র্যাফিকদের হাতের ইশারায় । সেখানে নেই কোন আধুনিকতার ছোঁয়া নেই ডিজিটালের ছোঁয়া । খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যেসব সিগন্যাল লাইট শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো ছিল সেগুলোও নেই কোন খানে তাহলে লাইট গুলো গেল কোথায় ।এমন হাজারো প্রশ্ন ছিল সাধারণ জনতার। অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি ট্রাফিক ব্যবস্থার ঝড়-বৃষ্টি অপেক্ষা করে এই ভাবেই সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তাদের যানজট নিরসন করতে হয়। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে ট্রাফিক স্বল্পতা ও রয়েছে সেখানে তথ্য মোতাবেক চারজন সার্জেন্ট তিনজন এস আই 30 জন ট্রাফিক নিয়ে চলছে কুষ্টিয়ার যানজট নিরসনের কাজ ।সবকিছু কিছু মিলে কুষ্টিয়া ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে দুর্ঘটনা এভাবেই বাড়তে থাকবে ঝরে খেতে পারে অসংখ্য মানুষের প্রাণ তাই ট্রাফিক ব্যবস্থা কে উন্নয়ন করা হোক এবং পূর্বের সিগন্যাল লাইট ব্যবস্থা চালু করা হোক এমন প্রত্যাশা করেছেন কুষ্টিয়ার সচেতন মহল ।

Discussion about this post