মারফত আফ্রিদী, মিরপুর:
বাংলাদেশের সকল জনগণ এখন নির্বাচনমুখী, দেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে। এই অবস্থায় কোনো দল যদি নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, নির্বাচনের পথে যদি বাধা সৃষ্টি করে তাহলে জনগণ তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম।
বুধবার বিকেল ৩টায় মিরপুর ফুটবল মাঠে উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, এদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে তাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে এসেছে। সেই অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ নির্বাচন। ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা যেভাবে নির্মম ও ভয়ংকর শাসন চালিয়েছেন, তা দেশের মানুষ চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছে। তিনি একসময় জবরদস্তি করে ক্ষমতায় এসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন। আজ তিনি যেখানে (ভারতে) আছেন, কৃতদাসের মতো-এটাই সময়ের প্রতিশোধ এবং তার আসল পরিণতি।
অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে হলে সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাকে নিখুঁত রাখতে হবে, যাতে কোন ধরনের উস্কানি বা হামলা সফল না হয়।’
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বাবুর সঞ্চালনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার ওমর ফারুক কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রশীদ, পৌর বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব আজাদুর রহমান (আজাদ) বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক মারফত আফ্রিদী, প্রচার সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিশ নিশাত, পৌর যুবদলের আহবায়ক সংগ্রাম খান জিল্লু, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসিরুজ্জামান রানা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে সাবেক এমপি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৌরসভার মধ্যে খন্দকবাড়ীয়া ও হরিতলা পুজা মন্ডব পরিদর্শণ করেন।

Discussion about this post