গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার যোগসাজশে অবৈধভাবে অগভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের আফছার মণ্ডলের ছেলে এনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অবৈধ অগভীর লাইসেন্স বাতিলের জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আরেক সেচপাম্প মালিক মোহাম্মদপুর গ্রামের আমছের আলী ।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আমছের আলী জানান, তিনি মটমুড়া মৌজায় অনুমোদন নিয়ে গত ৫/৬ বছর ধরে বৈধভাবে সেচ পাম্প পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু একই গ্রামের আফছার মণ্ডলের ছেলে এনারুল ইসলাম ২০২৩ সালের শেষের দিকে মটমুড়া মৌজার ৫০৩৩ দাগে সেচ পাম্পের অনুমোদন নিয়ে তৎকালিন বামন্দী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম হানিফ রেজাকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে হোগলবাড়িয়া মৌজার ৬৮০৪ দাগে জোরপূর্বক অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন একারণে তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি এনারুল ইসলামকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে গেলে সে আমার সঙ্গে বারবার অশোভন আচরণ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সে এখন অজ্ঞাত ক্ষমতার দাপটে আমার স্কীম এলাকায় জোরপূর্বক সেচ দিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে বামন্দী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বর্তমান এজিএম সৌমিক নাসের বলেন, সেচ পাম্পের বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে মৌজা ও দাগ নং ঠিক নেই তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মটমুড়া মৌজার ৫০৩৩ দাগে সেচ পাম্পের অনুমোদন নেয়া এনারুল ইসলাম বলেন, অনেক আগে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। বিস্তারিত মনে নেই।
এবিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) আশরাফুল ইসলাম বলেন, জমির দাগ ও মৌজা উল্লেখ করে অনুমোদন দেয়া হয়। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস অনুমোদিত মৌজা ও দাগে সংযোগ দেবেন এইটা নিয়ম। এর বাইরে অন্য কোন দাগে সেচপাম্প বসালে কিংবা সংযোগ দিলে এটার দায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন বনিক বলেন, নির্দিষ্ট দাগের বাইরে দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। যদি সংযোগ দিয়ে থাকে আর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Discussion about this post