মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় শুন্য আসেনর উপনির্বাচনে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন তিন এমপি প্রার্থী। মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং দৈনিক আজকের দেশবাসী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও মিডিয়া ব্যক্তি¦ খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় শুন্য আসনের উপনির্বাচনে ৮৭ হাজার ২৮৬ ভোট বেশী পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির জাপার জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫ ভোট। শুভ ও জহির এই দুই প্রার্থী ছাড়া অপর তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ায় তারা এলাকায় নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পরেছেন।
আজ সোমবার নির্বাচন াফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গতকাল ১৬ জানুয়ারি ছিল টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদয়ি শুন্য আসনে উপনির্বাচন। মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। এ বছরই প্রথম ১২১ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৫৬ কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন হয়েছে। ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ ভোটাদের মধ্যে ভোট পরেছে এক লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ ভোট। জামানত ঠিক রাখতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ভোটার উপিস্থিতর সারে ১২ শতাংশ ভোট পেতে হবে। একজন প্রার্থীর ভোট প্রয়োজন ছিল ১৫ হাজার ৬০০শ। কিন্ত গতকালের নির্বাচনে মির্জাপুর উপজেলার তিনজন নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় তারা জামানত হারিয়েছেন। এরা হলেন বাংলাদেশের ওর্য়ার্কাস পার্টির মো. গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী (হাতুড়ি) পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির শ্রী মতি রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) পেয়েছেন ৪৩৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি) পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ ভোট। টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বেসরকারী ভাবে এ ফলাফল ঘোষনা করেছেন। ফলাফলে দেখা গেছে এই তিন প্রার্থী মোট ভোটের সারে ১২ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তারা জামানত হারিয়েছেন বলে নির্বাচন অফিস সুত্র জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্র এবং টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৭ জন। এ বছই প্রথম ১২১ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৫৬ কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন হয়েছে। প্রথম বারের মত ইভিএম নতুন পদ্ধতিতে ভোট হওয়ায় নিরপেক্ষ ভোট গ্রহন হয়েছে।

Discussion about this post