চাকরীর দাবিতে এম এ পাস দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর সংবাদ সম্মেলন
জন্মান্ধ অঞ্জনা দৃষ্টি প্রতিবন্ধিত্ব ও দারিদ্রতার সাথে লড়ে ২০১৪ সালে ইতিহাসে মাস্টার্স হয়েছেন। চাকরি না পেয়ে গান ও টিউশানি করে সংসার চালান।কুষ্টিয়ায় সরকারি চাকরি ও বাসস্থান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ হয়নি অঞ্জনা রানীর। জন্মের পর থেকেই সে অন্ধ। তবুও জীবন-যুদ্ধে থেমে থাকেননি তিনি। অঞ্জনার সামনে কোনো সংকটই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। জন্মান্ধ হয়েও জীবন-সংগ্রামে দমে যাননি এই নারী। দৃষ্টিহীনতা আর দারিদ্রের সাথে একাই লড়াই করে ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপরও কোনো চাকরি না পেয়ে গান গেয়ে ও টিউশনি করে সংসার চালান অঞ্জনা। অঞ্জনার পরিবারের সদস্যরা একটি সরকারি চাকরির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। অঞ্জনা নিজেও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সরকারি চাকরি ও বাসস্থান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে তার পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার অভাব-অনটন আর নানা সংকটের মাঝে নিজের উদ্যম আর ইচ্ছা শক্তি দিয়ে লেখাপড়া শেষ করার কথা জানান। নানা-প্রতিবন্ধকতার পরও লেখাপড়ায় সফল হয়ে সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান। প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে মানুষ পৃথিবীকে জয় করতে পারে। সেটিই করে দেখিয়েছেন অঞ্জনা রানী। অঞ্জনা রানী অদ্যম মনোবল নিয়ে এখন চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন যুদ্ধ। শুধু তাই নয়,বর্তমানে তিনি চাকরির পড়াশোনা, সংসারের কাজ, টিউশনি, গানের অনুষ্ঠানসহ নানান কাজে সময় পার করছেন। অঞ্জনা রানীর জন্ম ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র আমলাপাড়া এলাকার বিবি নন্দি রোডের পুরাতন আনসার অফিসের সরকারি জায়গায় বসবাস করেন। হতদরিদ্র ফুটপাতে চা বিক্রেতার পরিবারে তার জন্ম। পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে অঞ্জনা সবার বড়। তার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকুরিজীবী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশ ও দেশের মানুষকে সেবা করা। কিন্তু মাস্টার্স পাস করেও প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারি চাকরি জোটেনি অদম্য মেধাবী অঞ্জনা রানীর কপালে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চাকরি চান। একই সাথে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চান অঞ্জনা। ...