ছাব্বির হোসেন, কুমারখালীঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমিরুল ইসলাম হত্যার পাঁচদিন পরে থানায় মামলা করা হয়েছে।শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে কুমারখালী থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী জহুরা বেগম। মামলা নম্বর ১৬। প্রতিপক্ষের আরিফকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নামে মামলা করেন তিনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের স্ত্রী শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের আরিফকে প্রধান আসামি করে থানায় ৩২ জনের নামে মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত আমিরুল ইসলম উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে। তাঁকে গত মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে হত্যা করে।
অপরদিকে হত্যার ঘটনায় হামলা ও মামলার ভয়ে পাহাড়পুর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার মানুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। হামলা, ভাংচুর ও মামলার আতঙ্কে ঘরের আসবাবপত্র ও গৃহপালিত পশু – পাখি নিয়ে অন্যান্য গ্রামের আত্মীয় – স্বজনদের বাড়িতে নিরাপদে চলে গেছেন।
শনিবার সকালে পাহাড়পুর গিয়ে দেখা যায়, সুনসান পরিবেশ। মোড়েমোড়ে রয়েছে পুলিশের অবস্থান। মাঝেমাঝেই টহল দিচ্ছেন পুলিশ। প্রায় শতাধিক ঘরবাড়িতে কোন সদস্যই নেই। পরে আছে শুধু শূণ্য ঘরবাড়ি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার, সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল ২৮ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় গ্রেফতার ভয়ে আসামিগণ ও ঘটনায় প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজনই আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
নিহতের স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন, খুনের বদলা নিতে প্রতিপক্ষরা বাড়িতে এসে স্বামী কুপিয়ে হত্যা করেছে। থানায় মামলা করেছি। হত্যার সঠিক বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামি গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।’
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post