গণঅভ্যুত্থান দিবস ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৩টায় শহরের পাবলিক লাইব্রেরী থেকে এই বিজয় র্যালী বের হয়।
র্যালী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এনএস রোড, সিঙ্গারমোড়,বকচত্বর,শাপলা চত্বর,মজমপুর প্রদক্ষিণ করে শহরের চৌড়হাস মোড়,মোল্লাতেঘড়িয়া হয়ে লাহিনী বটতলা মোড়ে এসে শেষ হয়। র্যালীতে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, দলীয় প্রতীক এবং বিভিন্ন স্লোগান সম্মিলিত ব্যানার ফেস্টুন দেখা গেছে।
পরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের গণসমাবেশের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে এবং কুষ্টিয়া জেলা সেক্রেটারি ও কুষ্টিয়া-২ আসন (মিরপুর ভেড়ামারা) এর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আরিফুজ্জামান এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ইলিয়াস শাহ্, মাওলানা আব্দুল মোমিন,মুফতী সাব্বির, মওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা সাইফুল্লাহ খালিদ, মাওলানা শারাফাত হোসেন, মাওলানা তরিকুল ইসলাম,মাওলানা নাজমুল ইসলাম, মাওলানা জাহাঙ্গীর সহ অসংখ্য নেতাকর্মীরা।
এসময় সভাপতি মাওলান আব্দুল খান বলেন, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার দীর্ঘদিন ধরে দেশকে দুঃশাসন, জুলুম ও ভোটহীনতার রাজত্বে নিমজ্জিত করে রেখেছিলো। তার নির্যাতন নিপীড়ন থেকে এদেশের গরিব মেহনতি মানুষ থেকে শুরু করে আলেম-ওলামারাও রক্ষা পায়নি। জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে পতন ঘটিয়েছে। নতুনভাবে বাংলাদেশে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার পতনের পর মানুষ যখন একটু স্বস্তি আশা করেছিলে, তখনই আরেকটি চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা গোষ্ঠী নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে। তারাও আবার নতুন করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লুটপাটে নেমেছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, কেউ যদি শেখ হাসিনার মতো অন্যায়কারী, গণবিরোধী, ফ্যাসিস্ট আচরণ করতে চায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও রাজপথে প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে। তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।
কুষ্টিয়া জেলা সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আরিফুজ্জামান বলেন,বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী ভূমিকা পালন করে আসছে। দলটি কখনো কোনো সরকারের পদলেহন করেনি। বরং সত্য ও ইনসাফের কথা বলেই রাজনীতি করেছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দেশে যখন কেউ সাহস করে উচ্চকণ্ঠে কথা বলেনি, তখনও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রাজপথে ছিল, এখনও আছে, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, খেলাফতে মজলিস শুধু রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটি আদর্শিক সংগ্রাম, যা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামি সমাজব্যবস্থা কায়েমের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।

Discussion about this post