ইরফান উল্লাহ, ইবি :
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদ , আহত ও যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছেন আমরা তাদের সবাইকে ধারণ করি। তারা ছাত্রশিবিরের শুভাকাঙ্ক্ষী। জুলাই অভ্যুত্থানের পর তাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশে ক্রেডিট নেওয়ার রাজনীতি চলছে। এটি বন্ধ হওয়া উচিত।’
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি ও রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছিলেন, এই যে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, তাদের তো কোনো রাজনৈতিক দল আইডেন্টিফাই করে না যে তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধা। ’৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের যদি কোনো দল আলাদা আলাদা ভাগ করে আইডেন্টিফাই না করে, জুলাই আন্দোলনকেও তো আমরা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ বলছি, তাহলে এই আন্দোলনের শহীদদের কেন বিভিন্ন দলে ভাগ করা হবে। বিএনপি তো কিছু শহীদের তালিকা করেছে নিজেদের বলে। এভাবে বিভিন্ন দলে নেওয়ার পর যেসব শহীদ বাকি থেকে যায় যাদের কোনো দল নেই, তাহলে তারা কোথায় যাবে। আমরা এ জন্য বলেছি ক্রেডিট নেওয়ার রাজনীতি জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বন্ধ হওয়া উচিত’
সভায় তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে এই ঈদে সব শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করেছি। আমাদের নির্দেশনা ছিল, ঈদের পরে ৪-৫ দিন আমরা সব শহীদ পরিবার ও আহতদের কাছে গিয়েছি। আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ না করেও এসব পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেছি। আমরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে ধারণ করি না, আমরা সবাইকে ধারণ করি। এই আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের অনেক দায়িত্বশীল শাহাদাত বরণ করেছে। রাজশাহী মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হান শাহাদাতবরণ করেছে। কিন্তু কোথাও তার নাম না নিলে আমরা উচ্চবাচ্য করি না। আমরা বলি না যে বইয়ে তার নাম কেন দেওয়া হলো না ‘
শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এসব নোংরা পলিটিকস করা ঠিক না। জুলাই আন্দোলনকে ম্লান করে দেওয়ার জন্য যেসব শক্তি কাজ করছে, তাদের প্রতি আমরা নিন্দা জানাই। জুলাইয়ের সামগ্রিক বিষয়গুলোকে আমরা ধারণ করা চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে ক্রেডিটের রাজনীতি মানুষ আর পছন্দ করে না।’

Discussion about this post