মাহাবুব আলম, মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনীর তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নিজস্ব লোককে বাঁচাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে প্রভাবিত করে গ্রামের অন্য দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন মর্মে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন করমদী গ্রামের আব্দুল মান্নান ও শাহিনুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে মান্নান জানান, ১৭ জুন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরের আপনজনখ্যাত এ উপজেলার ওলিনগর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ সীমান্ত এলাকা থেকে মোটর সাইকেল পাচারের সময় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাড়া করে। বিজিবির হাত থেকে পালিয়ে কাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করমদি গ্রামের জাহাঙ্গীরের বাড়ির পাশর্^বর্তী বহলপাড়ায় বিজিরি হাতে ধরা পড়ে। এসময় বিজিবির সদস্যারা লাঠি দিয়ে এলোপাতারী মারধর শুরু করলে সে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে কালামের ফেলে যাওয়া মটরসাইকেল যাহার চ্যাসিজ নং MD237AY9KW154275
ইঞ্ছিন নং PEYWKF70279
গাড়ীটি বিজিবির সদস্যরা ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সাথে করে নিয়ে যায় করমদি দিঘির মোড়ে। আসামী আবুল কালাম আজাদকে বাদ দিয়ে বিজিবির সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যোগসাজসে ঘটনাস্থল হইতে আনুমানিক ৮ কিঃমিঃ দূরে কুষ্টিয়া জেলার দৌলুতপুর উপজেলা ধর্মদাহ বিওপির ক্যাম্প হইতে ভারত থেকে অবৈধ পথে মটরসাইকেল পাচার করিয়াছে বলে অভিযুক্ত করে আমি মোঃ শাহিনুর ও আঃ মান্নানের নামে নাটকীয়ভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাইছি।
বিজিবির সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে চাপ দিতে তিনি বিজিবিকে প্রভাবিত করে করমদি গ্রামের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আব্দুল মান্নান ও শিক্ষক শাহিনুলের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করান। ওই মামলায় ঘটনাস্থল পশ্চিম ধর্মদহ দেখিয়ে মামলার বাদী হন ৪৭ বিজিবির নায়েব সুবেদার সাইফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার দিন মান্নান ও শাহিনুল বাড়িতে অবস্থান করেন এবং তারাই আবুল কালাম আজাদকে মোটর সাইকেল ফেলে পালাতে দেখেছেন। তার নামে মামলা না হয়ে অন্য থানায় মামলা হয়েছে জাহাঙ্গীরের প্রভাবে। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরকে মাদক পাচারকারী হিসেবেও উল্লেখ করেন ভুক্তভোগিরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রীক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post