চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উপজেলাতেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। এখনও পর্যন্ত ১৫ উপজেলায় ৮২৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে৷ তবে এর মধ্যে শুধুমাত্র এক উপজেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি। তবে চার উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার (২ আগস্ট) পর্যন্ত শুধুমাত্র সীতাকুণ্ড উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৮ জন। এছাড়া বাঁশখালীতে ৫৬ জন, মীরসরাইয়ে ৫৫ জন, হাটহাজারীতে ৫৩ জন, পটিয়ায় ৫৩ জন, সাতকানিয়ায় ৪৬ জন, আনোয়ারোয় ৪৬ জন, রাউজানে ৩৪ জন, ফটিকছড়িতে ২৭ জন, লোহাগাড়ায় ২৫ জন, বোয়ালখালীতে ২৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২১ জন, কর্ণফুলীতে ১৮ জন, সন্দ্বীপ ১২ জন এবং চন্দনাইশে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলাতে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ৬২৩ জনই জুলাই মাসে শনাক্ত হয়েছে। তবে এর কারণ হিসেবে সীতাকুণ্ডের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মো. নূর উদ্দিন বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের কুমিরা, সলিমপুর, সোনাইছড়ি এলাকা চট্টগ্রাম শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় তারা শহরের হাসপাতালে রোগী দেখাতে এসে সীতাকুণ্ড স্থান হিসেবে এন্ট্রি করছে। এসব এলাকার বেশিরভাগ লোক শহরে থাকে। আক্রান্ত শহরে হলেও উপজেলার হিসেবে সীতাকুণ্ড উল্লেখ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া পাহাড়ি পাদদেশে হওয়ায় জঙ্গল, ঝোপঝাড়ে পানি জমে থাকার কারণেও সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি।’ এদিকে বুধবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫ জন। মৃতের সংখ্যা জন।
এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৩৭ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০ জন, জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন এবং জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ১৩১ জন ভর্তি রয়েছেন। শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৭৬৮ জন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৩ আগস্ট ২০২৩

Discussion about this post