শেখ দীন মাহমুদ,খুলনা প্রতিনিধি: নদীর দুই পাড় দখলদারমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। শুধু তা নয়, নদী যাতে দূষণমুক্ত থাকে সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি। খুলনায় আমরা কাজ করছি।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের রুজভেল্ট জেটি এবং বিআইডব্লিউটিএ’র জেটি পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ভৈরব অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি নদী। বাণিজ্যিক অন্যতম একটি পথ। খুলনা থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত চলে গেছে। নদীর চ্যানেলগুলো ধরে রাখার জন্য ড্রেজারবেজ করছি, যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। একইসঙ্গে নদীর দুই পাশের দখলদারদের বিষয়ে স্ট্যাডি চলছে। যেখানেই আমরা নদীর অবৈধ দখলদার পাবো, সেখানেই আমরা তাদেরকে উচ্ছেদ করবো। নদীকে কেউ দখল করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মানুষের রক্ত শিরার প্রবাহ যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন কিন্ত মানুষের প্রাণ থাকে না। নদীর প্রবাহ বন্ধ হলে বাংলাদেশের প্রাণ থাকবে না। কাজেই যারা নদীর প্রাণ কেড়ে নিতে চাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের শত্রু। আমরা এই শত্রুদের চিহ্নিত করে নদীকে প্রবাহমান করবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই খুলনা একটা মৃত শহরে পরিণত হয়েছিল। সব বন্ধ হয়ে
গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে শিপইয়ার্ড চালু করার
পদক্ষেপ নেয়। এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্বে খুলনা
শিপইয়ার্ডের নাম হয়ে গেছে। খুলনাকে আবার নতুন করে জাগরণ তৈরি করার জন্য
আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দর চট্টগ্রামের সক্ষমতা নিয়ে আগামীদিন আসতে যাচ্ছে। এই যে রিজিওনাল কানেকটিভিটি মোংলা বন্দর থেকে তৈরি হয়েছে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে। সেগুলো যখন পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে, খুলনা আবার তখন নতুনভাবে জাগরণ তৈরি হবে। সেই জাগরণের নেতৃত্ব দিচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে খুলনার যে পরিবর্তন দেখছেন, এই পরিবর্তনটা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। আর ১০ বছর পরে যে খুলনা দেখবেন, সেটা একটা অসাধারণ নগরীতে পরিণত হতে যাচ্ছে। যেই নগরীর পাশেই আমাদের সুন্দরবন। এই সুন্দরবনের দর্শনার্থীদের জন্য আমরা কোন ধরনের
অবকাঠামো তৈরি করতে পারিনি। আমরা এখানে অনেক ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করছি,
প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বিদেশ থেকে গঙ্গা বিলাস এসেছে, আবার আসবে, বারবার আসবে। বিদেশীরা আসবেন, খানজাহান আলী এয়ারপোর্ট হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনকে আমরা শুধু নামে তুলে ধরতে পেরেছি, কিন্তু চাক্ষস ধরে তুলতে পারিনি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের সেই পথটা তৈরি হচ্ছে। নদী রক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শ্রমিকদের বেতন পুনবিবেচনার দাবিতে ১৮ মার্চ মালিকদের নৌযান বন্ধের
হুশিয়ারির ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালিকদের অবশ্যই শ্রমিকদের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। শ্রমিকরা না খেয়ে মরে যাবে তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাবে না, চিকিৎসা পাবে না। এই অমানবিকতা আমরা দেখতে চাই না। এখানে সমতা দরকার, শ্রেণিবিন্যাস থাকবে না। সকলে সমান
সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দেশেই থাকবে, আমরা এটাই চাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post