শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা)॥ পাইকগাছার চাঁদখালীতে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদখালীর ধামরাইল গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, ১৯৮০ সালে উপজেলার চাঁদখালীতে কপোতাক্ষের চরভরাটি ১ একর ৫০ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত নেন স্থানীয় মোঃ বাক্কার সানা। পরে ২০০৬ সালের তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে স্ত্রী-পুত্রকে সামনে রেখে বন্দোবস্তকৃত জমি ৮৫৭ নং এভিডেভিটের মাধ্যমে না-দাবী চুক্তিপত্রের মাধ্যমে জনৈক কামরুজ্জামান বাচ্চুর স্ত্রী মোছাম্মৎ আসমা আরা বেগমের নিকট বিক্রি করেন।
এরপর আসমা আরা বেগম ২০১৮ সালের ২২ মার্চ উক্ত জমি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় অনুরুপ এফিডেভিটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের সামনে রেখে ধামরাইল গ্রামের রবিউল ইসলাম সানার স্ত্রী তানজিলা বেগমের কাছে বিক্রি করেন। এরপর থেকে ইসলাম সানা দম্পতি সেখানে বসতি স্থাপনের পাশাপাশি মাছ চাষ করে আসছেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ আগষ্ট মূল বন্দোবস্ত গ্রহীতার ছেলে কামরুল গাইন আকষ্মিক তার পিতার জমি ওয়ারেশ সুত্রে দাবি করে লোকজনসহ সেখানে হামলা করে। এসময় তারা তাদের বসত ঘর ভাংচুর করে সমুদয় জমি দখল করে নেয়। এতে বাঁধা দিলে তাদের হামলায় হামলায় মহিলাসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা বর্তমানে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে মারপিট ও বসত-বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ১৩ আগস্ট তানজিলার স্বামী রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করেন যার নং ২২০/২১ ইং।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম খুবই অসহায়। বর্তমানে তার বসবাসেরও কোন জায়গা-জমি নেই। মানবিক দিক বিবেচনায় তার পিতার বন্দোবস্তকৃত জমিটি ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

Discussion about this post