মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়েচলা বংশাই নদীর উপর পাকা ব্রিজ না হওয়ায় যোগাযোগে তিন উপজেলাবাসিকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।যুগ যুগ ধরে চলছে তাদের অসহনীয় দুর্ভোগ। নরবরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবর উপর ঝুঁকি নিয়ে তাদের পারপার হতে হচ্ছে।
ফতেপুর বাজারের পুর্ব পাশে বংশাই নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মানের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসলেও নানা জটিলতায় আজও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগি এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
আজ শনিবার (২৩ মার্চ) ঘটনাস্তল ঘুরে দেখা গেছে নরবরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন পারাপার হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফতেপুর ইউনিয়ন দুই দিক দিয়ে বংশাই নদী ভাগ করে রেখেছে। জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে চলচলের ক্ষেত্রে তাদের দুর্ভোগের অন্তনেই। ফতেপুর ইউনয়নের ফতেপুর বাজারের পুর্ব পাশে পালপাড়া এলাকায় বংশাই নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মান এলাকাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবি। কিন্ত তাদের সে দাবি আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
থলপাড়া, বানকাটা, পালপাড়া, সুতানরি, গোবিন্দপুর, বন্যাতলী, গোড়াকি, তেঘুরি, ভাতকুড়া, সোনারচর, পারদিঘী, কাঞ্চনপুর, হিলড়াসহ ২০-২৫ টি গ্রামের লোকজন এই নরবরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যুগ যুগ ধরে যাতায়াত করে আসছে। এছাড়া মির্জাপুর, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার শতশত লোকজন এই বাঁশের সাঁকোর উপরনির্ভরশীল। অনেকে ১০-১৫ মাইল ঘুরে জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। এতে এক দিকে তাদের অতিরিক্ত অর্থ অপচয় হচ্ছে, তেমনি সময়ও বেশী লাগছে।
ভুক্তভোগিদের মধ্যে তিন স্কুল শিক্ষক ও দুই জন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, এখানে একটি পাকা ব্রিজ না হওয়ায় উৎপাদিত ফসলের নায্য দাম থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। এছড়া ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে বেশি।
ফতেপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম মিয়া ও ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফতেপুর বাজারের পুর্ব পাশে বংশাই নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মান এরাকাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবী। নানা জটিলতার কারনে আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে তিন উপজেরাসহ ফতেপুর ইউনিয়নের ২০-২৫ টি গ্রামের লোকজনকে যোগাযোগে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওায়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, ফতেপুর ইউনিয়ন অত্যান্ত অবহেলিত। বিশেষ করে নদী ভাঙ্গনে এলাকাবাসির দুর্ভোগের শেষ নেই। তারমধ্যে ফতেপুর বাজারের পুর্ব পাশে একটি পাকা ব্রিজ নির্মান অতি জরুরী হয়ে পরেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ফতেপুর বাজারের পুর্বপাশে বংশাই নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজের জন্য অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে ব্রিজ নির্মান হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post