কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শিপন আলী। তবুও মানবিক বিভাগের প্রবেশপত্র নিয়ে ইতিমধ্যে পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন তিনি। কিন্তু এবিষয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অভিভাবক কেউ টের পাইনি। হঠাৎ পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতে (গত শুক্রবার) এবিষয়ে টের পান ওই পরীক্ষার্থী।
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তাঁকে আশ্বস্ত করেন ইউএনও।
এবং ইউএনওর প্রচেষ্টায় শনিবার বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা সম্পন্ন করেন ওই পরীক্ষার্থী।
ঘটনার শিকার ওই পরীক্ষার্থী মো. শিপন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি -২০২২ এ অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি পৌরসভার মো. শাহিন মন্ডলের ছেলে। তিনি কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন। শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী মো. শিপন বলেন, পাঁচটি পরীক্ষা হয়ে গেলেও বুঝতে পারিনি। স্যারেরাও টের পাইনি। গত শুক্রবার রাতে টের পেয়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের জানায়। শিক্ষকরা মানবিক বিভাগেই পরীক্ষা দেওয়া কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। পরে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে ইউএনও স্যারকে কল দিয়েছিলাম। স্যার আমার পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। কিন্তু সংশোধিত প্রবেশপত্র এখনও হাতে পাইনি।’ জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, ‘ শিপন স্কুলে অনিয়মিত উপস্থিত হত। বিষয়টি আগে জানায়নি, আমরাও টের পাইনি। টেকনিকাল ভুলে এমন হতে পারে। ওকে নিয়ে বোর্ডে যাওয়া হবে।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ হঠাৎ জানতে পেরেছি বিজ্ঞানের ছাত্র মানবিকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সংশোধনের জন্য প্রধান শিক্ষক কাজ করছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ শিপন তার সমস্যার কথা জানায়। পরে রাতভর শিক্ষা অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) স্যারের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি।’তিনি আরো বলেন, ‘ শিপন আজ পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছে। খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post