জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস পালিত হয়েছে। ‘Pharmacy strengthening health systems’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে দিবসটি উদযাপিত হয়।
ফার্মেসি পেশার কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস আর্থ অ্যান্ড লাইফ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার র্যালির মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের পক্ষ থেকে পোস্টার প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগকে বিচিত্র কারুকার্যে, আলপনায় এবং নকশায় সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসাররফ হুসাইনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ডিজিএম শওকত হোসেন, জেনারেল ম্যানেজার সাফায়াত মাহমুদ, এসিআই লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ মুহসিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান।
সভায় ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সাফায়াত মাহমুদ বলেন, ফার্মেসি অনেক প্রাচীন একটা প্রফেশন। ফার্মেসিকে বাদ রেখে স্বাস্থখাত কল্পনা করা যায় না। ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা বিবেচনায় কোয়ালিটি ফার্মাসিস্ট দরকার আর মেধা না থাকলে যোগ্য ফার্মাসিস্ট হওয়া যায় না। এজন্য নিজেদেরকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি প্রত্যাশা করি মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য ফার্মাসিস্টরা অবদান রাখবে।
লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, আমাদের যে মৌলিক চাহিদা স্বাস্থ্য, এই মৌলিক চাহিদা নিয়েই ফার্মেসি বিভাগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আমি প্রত্যাশা করি, আমাদের যে ক্রমবর্ধমান ঔষধশিল্প এবং জনস্বাস্থ্য সেখানে নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে যেসব জায়গায় গ্যাপ আছে সেখানে নিজেদের স্ব-উদ্যোগে সম্পৃক্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, জবি ফার্মেসি বিভাগের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, সমস্যা আছে এগুলোকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবনের নানা সীমাবদ্ধতা দূর করতে পারে আজকের তরুণ ফার্মাসিস্টরা। এজন্য নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post