**হ্যাঁ পাগল** মিজানুর রহমান হেলাল ঃ
আমাদের সমাজে পারিবারিক বন্ধন গুলো বর্তমানে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সম্পদের প্রতিযোগিতা এমন ভাবে পরিবারগুলোকে গ্রাস করেছে.. আবেগ, অনুভূতি, আন্তরিকতা সবকিছু ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। একসাথে বসে গল্পের ধরনও চেঞ্জ হয়ে গেছে। আগেকার সময়ে আমরা একত্রিত হলে আমাদের মাঝে কথাবার্তার যে ধরন ছিল এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। কার কি আছে এটা নিয়ে জাহির করাই যেন সকলে ব্যস্ত। আসলে বয়সের সাথে-সাথেই হয়তো মানুষের আবেগ অনুভূতিগুলো পরিবর্তন হয়ে যায়। এটাই হয়তো এই পৃথিবীর চরম নির্মমতা এবং বাস্তবতা।
কোন কোন মানুষ কখনো কখনো সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, অথবা নীরব হয়ে পড়ে। আসলে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী সে হয়তো এই সোসাইটি কে মানতে পারেনা অথবা মানিয়ে নিতে পারে না।
আস্তে আস্তে মনের ক্ষতগুলো বাড়তে.. বাড়তে.. বাড়তে.. বাড়তে.. এক সময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। জীবন চলে যায় গতিহীন ভাবে। তবে সব মানুষের প্রত্যাশা এক রকম হয় না, আবেগ অনুভূতি এক হয় না। জীবনে সুন্দরভাবে বাঁচতে খুব বেশি সম্পদের প্রয়োজন হয় না। তারপরও আমরা খুশি থাকতে পারিনা!
অনেক মানুষ আছে সব কিছু বোঝার পরও না বোঝার ভান করে থাকে, তাদেরকে আবার কেউ কেউ পাগল ভাবে.. *হ্যাঁ পাগল* তবে বুদ্ধিমান পাগল *শিক্ষিত মূর্খ* নয়!
জীবনের প্রতিটি বাঁকে-বাঁকে নতুন-নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চার হয়।
উদাসীন মানুষ গুলো সব সময় কষ্ট পায়, ঠকে, তবে এই নিয়ে তাদের কোন দুঃখ বা আক্ষেপ হয় না, তাদের হৃদয়ে সব কিছু সয়ে যায়।
*শিক্ষিত মূর্খ*রা মনে করে তারাই শুধু বেশি বোঝে, তারা অনেক জ্ঞানী ও যোগ্যতাসম্পন্ন। তবে তাদের ইশারা কি ইঙ্গিত করে, জটিল কথাগুলোর অর্থ এবং ‘কি-হনুরে’ ভাব সকল কিছুই বুদ্ধিমান পাগল-রা বুঝতে পারে এবং মনের মধ্যে পাগলামির হাসি হাসে। তবে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে থাকে এই বুদ্ধিমান পাগলরাই।
আমাদের সমাজে মানুষের যে শ্রেণীবিভেদ রয়েছে সে বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ না করলেও নির্দিষ্ট একটি শ্রেণীর মানুষের জন্যই লেখাটি প্রযোজ্য।
[এই আর্টিকেলটা গভীর অনুধাবন করে লেখা, তবে মানুষের বাস্তব জীবনের সাথে নাও মিলতে পারে। এই আর্টিকেলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি আসলে কি!]

Discussion about this post