নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৭ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখে প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ সম্পর্কে অবহিতকরণ বিষয়কপত্র জারি করে।
সেই নির্দেশনায় শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত প্রাথমিক শাখায় পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রথম সাময়িক পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৪০% শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।সরকারের এ ধরনের নির্দেশনা চরম বৈষম্যমূলক।
নির্দেশনায় বেসরকারি বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনকে উপেক্ষিত করা হয়েছে এবং যেসব শিক্ষার্থী বেসরকারি বিদ্যালয় কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়ন করছে তারা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না।
আমার জোর দাবি জানাচ্ছি যে :
১। বেসরকারি বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে।
২। শিক্ষাক্ষেত্রে সকল ধরনের বৈষম্যমূলক নীতিমালা বাতিল ও সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৩। নিবন্ধনভুক্ত সকল বেসরকারি বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত শিক্ষকদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। বেসরকারি বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি চালু করতে হবে।
৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় নিবন্ধনভুক্ত কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দের আওতাভুক্ত করতে হবে।
আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে, অনতিবিলম্বে একটি সুস্পষ্ট ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালার আলোকে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য তৈরি না করে সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক।

Discussion about this post