নিজস্ব প্রতিনিধি (যশোর)
পঙ্গু হয়েও ভিক্ষা না করে ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে সংসার চালাতেন কালিপদ বিশ্বাস (৪৮) নামে এক ব্যক্তি । কিন্তুু দোকানে আগুন লেগে নিভে গেছে তার জীবন সংগ্রাম।
তিনি উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরো একজন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে যশোর মণিরামপুর উপজেলাধীর ঝাঁপা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর সামনে চায়ের দোকানে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের বাঞ্চারাম বিশ্বাসের ছেলে। এছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে অমিত (২২) নামে এক যুবকের হাত পুড়ে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, কালীপদের ডান পায়ের হাঁটুর নীচ হতে কাটা। তিনি প্রতিদিন রাতে ওই দোকানের ভেতর কাঠের খাটের উপর ঘুমিয়ে থাকতেন। ওই চায়ের দোকানের ভেতর ফ্রিজ রয়েছে, যা খোলামেলা বৈদ্যুতিক তার দিয়ে সংযোগ দেওয়া। এছাড়া, ওই ব্যক্তি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে খাটের পাশে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতেন। এলাকাবাসীর ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা মশার কয়েলে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটতেপারে।
মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী দাউদ হোসেন বলেন, কালিপদ বিশ্বাস একজন প্রতিবন্ধী। স্থানীয় এলাকার মানুষ একটি চায়ের দোকান করে দিয়েছিল। ওই রাতে পাশের এলাকায় যোগ্য অনুষ্ঠান চলছিল, হয়তো বিড়ি সিগারেট ছাই থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post