এসএম জামাল:
কুষ্টিয়ার মিরপুরে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রঙিন ফুলকপিসহ রঙিন অন্যান্য সবজি উপহার দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুধু হলুদ বেগুনী ফুলকপিই নয়, এ উপজেলায় উৎপাদিত উচ্চমুল্যের ফসল হিসেবে বেগুনি রঙের বাঁধাকপি, স্কোয়াশ, গাজর ও লেটুসপাতা ডালি ভর্তি করে উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের সভা শেষে কুষ্টিয়া-২ ( মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও ইউএনওর হাতে রঙিন ফুলকপিসহ এসব সবজির ডালি সাজিয়ে উপহার দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি সহ রঙিন সবজি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতেই তিনি উপজেলা পরিষদের সভা শেষে এসব উপহার দিয়েছেন।
রঙিন এ ফুলকপি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ দেখতে সুন্দর ও আকর্ষনীয়। এই নতুন জাতের রঙিন ফুলকপিসহ সবজি সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে তিনি তার চিন্তা থেকে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে এসব উপহার দিয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, আমরা সাধারণত সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে দেখে থাকি। যার প্রতিটির দাম ৩০/৩৫ টাকা। কিন্ত চাষকৃত রঙিন জাতের রঙিন ফুলকপি ভিটামিনযুক্ত ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় বাজার দর অনেক বেশি। বর্তমানে বাজারে পাইকারী প্রতি পিস রঙিন ফুলকপি ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চলতি বছর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের মহনপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন ২০ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপি প্রদর্শনী করা হয়েছিল। আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ, সুষম সার ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিতে ভ্যালেন্টিয়া ও কোরেন্টিয়া জাতের ২ হাজার পিস রঙিন জাতের ফুলকপি চারা রোপন করা হয়।
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান জানান, যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত উচ্চমুল্যের ফসল হিসেবে রঙিন ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, স্কোয়াশ, লেটুসপাতা এ উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে আবাদ করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে হলুদ ও রক্তবর্ণের ফুলকপি চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
তিনি বলেন, “বাজারে নতুন আসা হলুদ রংয়ের ফুলকপিতে রয়েছে বিটা কেরোটিন; যা শরীরে ভিটামিন ‘এ’-তে পরিণত হয়। আর রক্তবর্ণ ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্থোসাইয়ানিন; যা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’-এর প্রাচুর্যসহ সাধারণ ফুলকপির (সাদা ফুলকপি) সব পুষ্টিগুণ উপাদানই রয়েছে।“
কৃষক মো. কামাল হোসেন বলেন, রঙিন জাতের ফুলকপি চাষ করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। এজন্য তিনি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেন, নতুন উৎপাদিত পণ্য সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//ফ্রেব্রুয়ারী ২০,২০২৪//

Discussion about this post