টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবরোধ ও নাশকতার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপি ২০ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
পুলিশের গ্রেফতার আতংকে সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী বাড়ি ছাড়া।
বিএনপির নেতা কর্মীদের বাসা বাড়ির মহিলাদের অভিযোগ বিনা কারনে পুলিশ তাদের বাসাবাড়ি তল্লাসীর নামে হয়রানী করছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, হরতাল অবরোধের নামে বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের কোন নেতাকর্মীদের নাশকতা ঠেকাতে তারা অভিযান অব্যাহৃত রেখেছেন। কাউকে বিনা কারনে গ্রেফতার বা হয়রানী করা হচ্ছে না।
মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, থানায় মামলা এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বিএনপির নেতাকর্মীরা হচ্ছেন ৫ নং বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিংকু, উপজেলা যুবলদের আহবায়ক গোলাম মোস্তফা জীবন, গোড়াই ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দুলাল মিয়া, বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, ইমরান আহমেদ রজবু, শওকত হোসেন হিরা, জাহাঙ্গীর আলম, ৮ নং ভাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমান বাদল, গোড়াই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবদলের নেতা তমাল মৃধা, জনি মৃধা, মাহবুব সিদ্দিকী এবং জনিসহ ২০ জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির অন্তত ১০ জন নেতা অভিযোগ করেন, বিনা কারনে পুলিশ তাদের হয়রানী করে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠাচ্ছেন।
এছাড়া পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে আত্নগোপনে রয়েছেন সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. আব্দুর রউফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দন আরিফ, খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম, সাবেক চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, সহসভাপতি ডি এম ফরিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ভিপি মো. হযরত আলী মিঞা, সাধারণ সম্পাদক এসএম মহসীন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি ও পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকীসহ মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, গত ৩০ অক্টোবর গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন হরতাল-অবরোধ সফল করতে গোড়াইল এলাকায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাস ভবনে বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্য জরুরী মিটিং করতে ছিলেন। নাশকতা ঠেকাতে এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন তাদের গ্রেফতার করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে পুলিশের উপর হামলার ছেষ্টা করে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর এ পর্যন্ত বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। বিনা কারনে কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানী করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবী করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post