মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই ও লৌহজং নদীতে এমপি ও উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগে এসিল্যান্ড মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল অভিযান চালিয়ে ড্রেজার ভেঙ্গে দিয়েছেন। এ সময় বালি উত্তোলনকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। গতকাল রবিবার (১৪ মে) উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে এবং ভাতগ্রাম ইউনয়নের গোড়াইল এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আজ সোমবার (১৫ মে) ভুক্তভোগি এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, সোহেল মৃর্ধা, মোকলেছ সিকদার, সজল হাসান মৃধা, আজাদ সিকদার, কাবেল, ফরহাদসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে বংশাই নদীর ফতেপুর, থলপাড়া, হিলড়া আদাবাড়ি, পারদিঘী, চাকলেশ^র, বৈলানপুর, ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল, গাড়াইলসহ ১০-১২ টি স্পটে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছে। এ ছাড়া এই চক্রটি বাঙলা ড্রেজারসহ বিভিন্ন স্পটে ভেক্যু বসিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ মিয়াও এর সঙ্গে জড়িত। অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনরে ফলে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট হুমকির মুখে।
এদিকে গতকাল রবিবার মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫-৬ টি বাংলা ড্রেজার ভেঙ্গে দিয়েছে। এ সময় অভিযুক্ত বালি উত্তোলনকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা নদীতে অবৈধ ভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে তাদরে কোন অবস্থায় ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বালি উত্তোলন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদরে এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Discussion about this post