জেলার আদিমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে গতকাল রবিবার ১২ বস্তা ভিজিএফের চাল জোরপূর্ব তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। এদিকে সোমাবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার ১টি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করবে।
জানা গেছে, তিস্তা পাড়ের দরিদ্রপ্রীড়িত ইউনিয়ন মহিষখোচা । পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোন দরিদ্র পরিবার যাতে অভুক্ত না থাকে। ঈদের আনন্দ সকলে দরিদ্র পরিবারের মাঝেও থাকে। তাই বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু করেছে সরকার। সুবিধাভোগীদের তালিকা করে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ সুবিধাভোগীর তালিকা প্রণয়ন করার নিয়ম। তবে এখানে মহিষখোঁচা ইউনিয়নে ব্যতিক্রম হয়েছে। এই ইউনিয়নের তালিকা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে মধ্যে মঞিষখোচা ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্লীপের তালিকার ৩৬ জনের বরাদ্দকৃত চালের ১২টি বস্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক দলবল নিয়ে এসে নিয়ে যায়। কিন্তু বরাদ্দ সিটে গোবিন্দ রায় নামে একজনের স্বাক্ষর রয়েছে। মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরীর তার নিয়মেই চলছে সবকিছু।
এব্যাপারে মঞিষখোচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, তারা ৩৬টি স্লীপ পাঠালেও লোক পাঠাতে পারেনি। তাই ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতিনিধির হাতে ১২ বস্তা (৩৬টি স্লীপের চাল) বুঝিয়ে দিয়েছি। তাদের সামনে চালের বস্তা গুলো নিয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের তালিকাভুক্ত এবং রেজুলেশনভুক্ত সুফলভোগীদের স্বাক্ষর নিয়ে চালের বস্তার গায়েব করা হয়েছে।
বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ সবাইকে অবগত করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিআর সারোয়ার বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ২১ হাজারের বেশি পরিবারকে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। চাল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এমন কথা শুনেছি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পরস্পপরস্প বিরোধী কথা বলেছে। তারা নিজ নিজ অবস্থানে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তটিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই টিম আগামী তিন কার্যাদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করবে। তদন্ত টিমের রিপোর্ট অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post