চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
ঈদের ছুটির দিনেই বেড়েছে ঘর মুখো মানুষের চাপ। ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের শাহ আমানত সেতুতে বৃদ্ধি পেয়ে পরিবহনের সংখ্যা। কিন্তু টানেল হওয়ার পরে সেতুতে কমেছে মাইক্রো আর প্রাইভেট কার জানিয়েছেন টোল কতৃপক্ষ।
এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় টোলপ্লাজায় বিভিন্ন যানবাহন পারাপার হয়েছে ৩৩ হাজারের অধিক। এরমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি শুধু থ্রি হুইলার গাড়ি। মোট টোল আদায় হয়েছে ২৫ লাখ ৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।
বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে টোল প্লাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র সহকারী এডমিন অফিসার সুমন ঘোষ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত কাল ৮ এপ্রিল দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ব্যাপক যানবাহনের চাপ থাকে। আজও দুপুর থেকে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তেছে। শাহ আমানত তৃতীয় সেতু দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন আসা যাওয়া করেন।
এ সময় আরাকান মহাসড়কের শাহ আমানত সেতুর শহরকুল ও দক্ষিণ কুলের টোলপ্লাজা এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট হচ্ছে। ধীরগতিতে চলে সব ধরণের যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
মইজ্জ্যারটেক ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. আমির ফারুক ও চেকপোস্টে ডিউটিরত আল আমিন এহসান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের খুব চাপ বাড়তে পারে বিকেলের পর থেকে। সাতকানিয়ার লোকজন বাড়ি যাবেন। এতে পরিবহনের চাপ বাড়বে রাত অবধি। যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের বন্দর ট্রাফিক পুলিশ। সব স্পটে জনবল রয়েছেন।’
কথা হলে শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজার সহকারি এডমিন অফিসার সুমন ঘোষ বলেন, ‘এখন প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জ্যাম একটু বাড়ে। দৈনিক গড়ে এখন টোল আদায় হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টাকার উপরে। গত বছরে গড়ে দৈনিক টোল আদায় ছিল ২১-২২ লাখ টাকা। ঈদ মৌসুমে কিছুটা বাড়লেও গত বছরের তোলনায় সামান্য কমেছে বলা যায়। কারণ বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের পর থেকে টোলে একটু এফেক্ট পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দৈনিক এখন ২৪ থেকে ২৫ হাজারের অধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। ঈদে একটু বাড়বে স্বাভাবিক। আমাদের সেতু দিয়ে প্রাইভেট কার আর মাইক্রো কমে গেছে। এসব গাড়ি টানেল দিয়ে যাচ্ছে। কিছু ট্রাক গাড়ি শহর থেকে আনোয়ারা চলাচল করছে টানেল দিয়ে। সেতুর টোলপ্লাজার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক বলা যায়। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল বাড়িয়েছি। যাতে যানজট না হয়।’
একই কথা জানালেন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র অপারেশন ডাইরেক্টর অপূর্ব সাহাও।
প্রসঙ্গত, শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় সেতু। এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালের ৮ আগস্ট ও শেষ হয় ২০১১ সালে।
লুসাই পাহাড় হতে উৎপত্তি হয়ে বয়ে চলা কর্ণফুলী নদী। নদীর কূল ঘেঁষে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম শহর গড়ে উঠেছে।
তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৯৫০ মিটার, প্রস্থ ২৪ দশমিক ৪০ মিটার। প্রায় চার বছরের কম সময়ে এ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। কম্পিউটারাইজ নিয়ন্ত্রিত টোল আদায় হয় এ সেতুর ওপর দিয়ে। রয়েছে ফাস্ট ট্র্যাকও। সামনে আসছে আরেকটি নতুন প্রযুক্তি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post