সিলেটে শেষ হলো ‘ইলেকশন রিপোর্টিংয়ের’ উপর তিন দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
প্রশিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেশন, অংশ নেয়া সাংবাদিকদের গ্রুপ ওয়ার্ক ও প্রশ্নোত্তরে সোমবার শেষ দিনটিও ছিলো মুখর ও প্রাণবন্ত।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সমাপণী ও সদনপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ,সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকরা। বাংলাদেশের সংবিধানেও সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমের যদি স্বাধীনতা না থাকে, সাংবাদিকতায় যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে গণতন্ত্র মূল্যহীন হয়ে পড়ে। নিরাপদ সাংবাদিকতা হচ্ছে কোনো দেশের গণতন্ত্রের মানদণ্ড।
মেয়র বলেন, সিলেটে রাজনৈতিক সম্প্রীতি রয়েছে। এখানে সাংবাদিকদেরও অধিকতর ঐক্য প্রয়োজন। সাংবাদিকদের ঐক্য ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা একসাথে চললে সিলেটের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।
সমাপণী বক্তব্যে নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মুক্তিযোদ্ধা শহিদুজ্জামান বলেন, নিউজ নেটওয়ার্ক দীর্ঘ বছর ধরে সাংবাদিকতার গুণগত পরিবর্তন ও সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। এটা কেবলই দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রকাশ।
নিউজ নেটওয়ার্কের সিলেট কো-অর্ডিনেটর মুকতাবিস-উন-নূর এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন,তিনব্যাপী কর্মশালার প্রশিক্ষক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এপি’র বাংলাদেশ প্রধান জুলহাস আলম। প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, খালেদ আহমদ ও শাকিলা ববি।
এসময় নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট রেজাউল করিম ও ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইলেকশন রিপোর্টিং এর উপর টানা প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এপির বাংলাদেশ প্রধান জুলহাস আলম।
প্রশিক্ষণে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post