সিলেটের জিন্দাবাজারে পুলিশ-বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকাল সোয়া ৯টার দিকে সিলেট মহানগরের জেলরোড পয়েন্টে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এছাড়া সংঘর্ষের সময় নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেডও ফাটায়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সকাল ৮টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশও নগরে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে। দক্ষিণ সুরমায় সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ, টায়ারে আগুন দিয়ে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে সকাল ১০টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে গাছ ফেলে অবরোধ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কোহিনূর আহমদ ও সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম। একই সময়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার তেতলিতে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে মহানগরের লন্ডনি রোডের হাজীপাড়ার মুখ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ টি মোটরসাইকেলে করে বিএনপি নেতাকর্মীরা বের হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ১০ থেকে ১২টি গাড়িতে ভাঙচুর চালান। তাদের অনেকের হাতে লাঠি ছিল। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভাঙচুর চালিয়ে তারা চলে যান।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ বলেন, সিলেটের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা মাঠে রয়েছি। হরতালকে কেন্দ্র করে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা কঠোরভাবে তা দমন করবো। রোববার ভোর থেকে আমাদের মোবাইল টিম, সিআরটি ও সাদা পোশাকে একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের সাজোয়া যান পিসিআর।
এদিকে নগরীরর বিভিন্ন স্থানে পিকেটিংয়ের কারণে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক যানশূণ্য হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার অজুহাতে পরিবহন শ্রমিকরাও সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post