জেগে উঠুন জেনে নিন, সন্তানকে বুকের দুধ দিন। ‘স্কিনিং করি জীবন বাঁচায়’ এই আহবানের মাধ্যমে কুষ্টিয়ায় স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।
গতকাল সাফ‘র আয়োজনে বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম‘র সহযোগিতায় সকাল ৯ টার সময় কুষ্টিয়ার পোড়াদহে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মাদের নিয়ে এক আলোচনা সভা ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় শ্রী দীপক কুমার মাষ্টারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কিংবদন্তী এওয়ার্ড প্রাপ্ত কুষ্টিয়া জেলা পল্লী চিকিৎসক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর আবু আযম সিদ্দিকি।
আলোচকবৃন্দ বলেন, আমরা নারী পুরুষ উভয়ে সচেতন হবো এবং জেগে উঠবো, জেনে নিবো। প্রতিরোধ নিরাময়ের চেয়ে ভালো। লজ্জা না করে জানতে হবে জানাতে হবে। স্তন ক্যান্সারে ঝুঁকিতে কারা সাধারণত থাকতে পারে, সচেতনতার শুরুটা এখান থেকেই।* বয়স ৪০ বছরের বেশী * কম বয়সে মাসিক শুরু আর বেশি বয়সে মাসিক বন্ধ হওয়া * সন্তান ধারণ না করা * ৩০ বছর বয়সের পর সন্তান হওয়া * শিশুকে স্তনের দুধ পান না করানো * রক্ত সর্ম্পকের আত্মীয়দের স্তন ক্যান্সার থাকলে, ডিম্বাশয়, জরাযু, কোলন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকা * টানা দীর্ঘদিন এস্ট্রেজেনসহ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন * মেনোপজ, নারীদের হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি গ্রহনের ইতিহাস থাকা ঝুঁকিপূর্ণ * কায়িক পরিশ্রম না করা। এর বাইরে আছে, * মন্দ জীবনযাপনের অভ্যাস * অতিরিক্ত ওজন * একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম না করা * অতিমাত্রায় উচ্চ ক্যালরীযুক্ত খাবার (লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চর্বি, ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয়) গ্রহন * রাত জাগার অভ্যাস ইত্যাদি। আমরা যেভাবে ঝুঁকি কমাতে পারি তা হচ্ছে, * দৈনিক ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা এবং ব্যায়াম করার মাধ্যমে * দেহের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করার মাধ্যমে * যথেষ্ট পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে * নবজাতককে মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে * মনটাকে প্রফুল¬ রাখা * রসুন, আঁদা, এলাচ, জিরা,লবঙ্গ খেতে পারেন * পান, সুপারি, সিগারেটসহ যেকোন তামাকজাত পণ্য বর্জন করুন * লবনের সাথে প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ধোয়ায় পুড়িয়ে রান্না করা খাবার বর্জন করুন * দুধ ও দুধের তৈরী খাবার খান * সামদ্রিক মাছ ও আখরোট খান * ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন * ম্যামোগ্রাম করবেন এবং নিজের স্তন নিজে পরিক্ষা করবেন। নিজের স্তন নিজে কিভাবে পরীক্ষা করবেন তা দেখানো হয়। সবশেষে বলা হয়, যদি ক্ষতির কারণ লজ্জা হয়, তাহলে আর লজ্জা নয়। আলোচনা শেষে বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট বিলি করা হয়।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post